রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলা থেকে সীমিত পরিসরে চলছে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস। বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বাসগুলো নিদিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার সড়ক পরিবহন গ্রুপ ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
সরেজমিনে রাজশাহী শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকার ঢাকাগামী বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রীরা কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন। ন্যাশনাল ট্রাভেলস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আরমান আলী নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, জরুরি কাজে ঢাকায় যেতেই হবে। এজন্য বিকেল ৫টার টিকেট কেটেছি।
ন্যাশনাল ট্রাভেলস রাজশাহীর বিনোদপুর কাউন্টারের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকাল ১০টার পর থেকে ন্যাশনাল ট্রাভেলসের ৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে রাজশাহী ছেড়ে গেছে। রাত ১০টায় আরও একটি বাস নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা দিয়েছে।’ এভাবে প্রায় সকল ঢাকাগামী বাস রাজশাহী থেকে কমবেশি ছেড়ে গেছে।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউল হক টিটো বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকাগামী যাত্রাবাহী কোনো বাস রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে বুধবার সকাল থেকে বেশ কিছু গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে রাজশাহী ছেড়ে গেছে। এছাড়া আন্তঃজেলার বাসগুলো কারফিউ শিথিল থাকাকালীন চলাচল করছে।’
সিরাজগঞ্জ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার বেলা ১১টা থেকে সিরাজগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার (ঢাকা) ও আন্তঃজেলার বাসগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল শুরু করেছে।’ তবে যাত্রী সংখ্যা একটু কম বলে জানান তিনি।
বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকার সময় শুধু আন্তঃজেলা বাস চলাচল করছে। তবে ঢাকাগামী কোন বাস বগুড়া থেকে চলছে না। তবে এককভাবে কেউ ঝুঁকি নিয়ে ঢাকাগামী বাস চালালেও চালাতে পারে।’
জয়পুরহাট জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে জয়পুরহাট থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু করেছে। তবে যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় সীমিত পরিসরে এসব বাস চলছে। তবে কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে আন্তঃজেলার বাস নিয়মিত চলছে।’
নওগাঁ জেলা বাস সমিতির সহসভাপতি ও সড়ক পরিবহন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘সড়ক পরিবহন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ফোন করে মৌখিকভাবে ঢাকাগামী বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই আলোকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সীমিত পরিসরে ঢাকাগামী বাস নওগাঁ ছেড়ে গেছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান শামীম বলেন, ‘জেলা বাস মালিক সমিতির তদারকির বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী কিছু বাস ছেড়ে গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে তিনটি বাস এবং সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ঢাকাগামী বাস চাঁপাইনাবগঞ্জ ছেড়ে গেছে। যেসব বাস ছেড়ে গেছে তারা নিজ দায়িত্বেই গেছে।’
নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে ঢাকাগামী ও আন্তঃজেলার বাস অন্য সময়ের মতই স্বাভাবিকভাবেই নাটোর থেকে চলাচল শুরু করেছে।’
পাবনা সি-লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কারফিউ শিথিল থাকার সময়টাতে আমরা ঢাকাগামী বাস পাবনা থেকে চালাচ্ছি। আমাদের সি-লাইন বাসের মত ঢাকাগামী অন্য কোচগুলোর গাড়িও সীমিত আকারে চলাচল করছে।’
মন্তব্য করুন