বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেছেন, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ হাজারো সন্তানের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে। এখন আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ কোনো অরাজাকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি না করতে পরে। হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত আনন্দ মিছিল শেষে পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের সবসময় পাশে ছিলেন এবং আছেন। তাদের অসম্মান হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। আমার দলের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে।
আফরোজা খান রিতা বলেন, এখন আমাদের প্রাথমিক বিজয়। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে আমাদের আরও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, কারও বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা যাবে না। সরকার পতনের পর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর হওয়ার পর আমি, জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছি এবং যে কোনো ধরনের ভাঙচুর ও নৈরাজ্য ঠেকাতে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীরা থানা, ডিসি-এসপির বাসভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাহারা দিচ্ছে।
এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহ, সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ড পন্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরতাজ আলম বাহার, সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দস খান মজলিস মাখন প্রমুখ।
সামবেশের আগে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মী মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে জড়ো হতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে আনন্দ মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে পথসভা করে।