রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা আবেদীন পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি পদ্যাগ করেন।
জানা গেছে, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের বেশকিছু শিক্ষার্থী মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে জড়ো হন। তারা কলেজ অধ্যক্ষের কাছে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার আবেদন নিয়ে আসেন। সে আবেদনে সই করেন অধ্যক্ষ। এরপর কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে পদত্যাগের দাবিতে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
দুপুর ১২টার দিকে তারা অধ্যক্ষকে এক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে আলটিমেটাম দেন। অধ্যক্ষ পদত্যাগ করতে না চাইলে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীন পদত্যাগ ও বদলির আবেদনে স্বাক্ষর করেন।
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীন বলেন, আমি কোনো ক্ষমতাসীনদের পা চেটে অধ্যক্ষ হইনি। নিজের যোগ্যতায় এ পদে এসেছি। সকালে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করা হয়। এরপর আরও শিক্ষার্থী এসে আমাকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগ করতে বলেন। তারা ছাত্রদলের লিমন নামের একজনের নেতৃত্বে আসে।
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ বোধ করায় চলে যেতে চাই। এ সময় অটোরিকশার মধ্যে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়। তাকেও আঘাত করা হয়। এ খবর পেয়ে আমার স্বামী কলেজে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তাদের বানানো আবেদনে স্বাক্ষর করে কোনো রকমে বাসায় ফিরি। এখনো আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা বলেন, আমি কলেজের পাশেই থাকি। সেখানে যাতে করে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে কারণে গিয়ে ওই অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের করে এনেছি। শিক্ষার্থীরা কাউকে মেরেছেন কিনা জানি না।
ছাত্রদলের কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক (লিমন) বলেন, এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল। এখানে ছাত্রদলের কোনো ভূমিকা নেই। কাউকে মারধর করেননি তারা।
মন্তব্য করুন