আওয়ামী লীগ এখনও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। তিনি আরও বলেন- দেশের ব্যাংক লুট, দুর্নীতি, মানি-লন্ডারিং ও সব গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। বিদেশে পাচার করা সব টাকা ফেরত আনতে হবে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড ও পাহাড়তলী থানা জামায়াতের অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না উল্লেখ করে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ লুটপাটে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রে নয়। তারা জাতিকে কিছুই দিতে পারে নাই, ব্যাংকসহ অনেক কিছু লুটেপুটে খেয়েছে। স্বাধীনতার চেতনার নামে ভারতের চেতনাকে কার্যকর করেছে। বন্দর নিয়ন্ত্রণ করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাদের ক্ষমতায় আসার উদ্দেশ্য দেশের উন্নয়ন নয়, পার্শ্ববর্তী দেশকে সুবিধা দেওয়া। মঈনউদ্দিন, ফখরুদ্দিনরা তাদেরকে ক্ষমতায় এনেছিল। জামায়াতে ইসলামীকে তিনবার নিষিদ্ধ করেও দমাতে পারেনি। ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না, বরঞ্চ আমাদের দল প্রকৃত স্বাধীনতার দাবিদার।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নামক ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারিতে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যত গুলি করতে হয় কর, যত লাশ পড়ার পড়ুক আমি গণভবন ছাড়বো না। কিন্তু দেশের সর্বস্তরের জনগণ ছাত্র-জনতার পক্ষে থাকায় খুনি স্বৈরাচারী শাসক ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
কর্মীদের উদ্দেশ্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আল্লাহ তায়ালা মুমিনের জান-মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। তাই আমাদেরকে জেল-জুলুম ও জীবনের ভয়ে কুণ্ঠিত হলে চলবে না। বরং সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কারণ, জীবন-মৃত্যুসহ সবকিছুই হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। এর ব্যতিক্রম চিন্তা করা অবশ্যই শিরক। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে দ্বীন সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সহীহ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও নগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন