কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ১৪টি বাড়ি ও ৩টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৮ আগস্ট) রাতে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় একাধিক সূত্র।
আহতরা হলেন- ধনপতিখোলা গ্রামের মনির হোসেন, মিন্টু, সাদেক মিয়া, জামাল হোসেন ও নায়েব আলী। আহত চারজন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকলেও মনির হোসেনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় যুবক শাহাদত হোসেন জানান, রাত ১০টায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরপরই দেখি একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের বড় পাড়া এলাকায় প্রবেশ করে। কিছু বোঝার আগেই সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা হলেন- জসিম, হৃদয়, তৌহিদ, টুটুল, আশিক, ফয়সাল, যোবায়ের, বাবু, তারেক, মিজান, সাগর, টুটুল, আউয়াল, রোমানসহ প্রায় ৪০-৫০ জন।
আহত সাদেক মিয়া জানান, ঘটনার দিন বিকেলে জসিম আর নজরুলের ছেলে টুটুল আমাকে বিনা কারণে মারধর করে হাত ভেঙে দেয়। ওই সময় তারা আমাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে মারামারির ঘোষণা দেয়। আমরা আতঙ্কিত হয়ে তাৎক্ষণিক বাজার থেকে চলে আসি। রাতেই আমাদের পাড়ায় সন্ত্রাসীরা এ তাণ্ডব চালায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন ভূইয়া বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা আমার বাড়ির সামনে থাকা ৪টি পিকআপ গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ঘর থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের নেতৃত্বে যে হামলা ও লুটপাট হয়েছে তার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। রাতের বেলা মনির মেম্বারের নেতৃত্বে উল্টো আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি সফিউল আলম বলেন, হামলার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এমন কিছু পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন