কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক লোডশেডিং, বেকায়দায় শিক্ষার্থীরা

লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত
লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে হঠাৎ করেই। পৌর সদরসহ ১৩টি ইউনিয়নের মানুষ এ নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে। গরম আর লোডশেডিংয়ে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে পল্লীবিদ্যুৎ সূত্রে জানা গেছে।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কেন্দুয়া আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের ৯০ হাজার গ্রাহক আছে। এ ছাড়াও দিনদিন গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ২৪ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ছয় থেকে আট মেগাওয়াট। ফলে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কয়েকজন গ্রাহক জানান, উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ থাকলেও গ্রামাঞ্চলে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে ৩- ৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না। প্রতিদিন সন্ধ্যায় (পিক আওয়ার) বিদ্যুৎ চলে যায়। এ ছাড়া সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কমপক্ষে ১০-১২ বার লোডশেডিং হয়।

তারা আরও জানান, একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর আসে। অব্যাহত লোডশেডিং এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানায় উৎপাদন এবং বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার বেশি ব্যাঘাত ঘটছে।

উপজেলার মোজাফফর পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সলিম উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে কালবেলাকে বলেন, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে। নামাজের সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। আমরা ঠিকমতো নামাজও পড়তে পারি না। প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কয়েকঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ যায়, কিছুক্ষণ থাকার পর আবার চলে যায়। লোড শেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের শিক্ষার্থী আশরাফুল, নাদিম, লিয়ন জানায়, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ কম কেন? বুঝলাম না। প্রয়োজনের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় লেখাপড়ার করতে সমস্যা হয়। এতে আমাদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।

কেন্দুয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মজিবুর রহমান কালবেলাকে জানান, স্বাভাবিক সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল দিনে ১৬ মেগাওয়াট ও রাতে ২২ মেগাওয়াট। তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দিনে ২০ মেগাওয়াট ও রাতে ২৪ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। আবার রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ পাচ্ছি মাত্র ৮ মেগাওয়াট। আমরা চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। যার ফলে গ্রাহকদেরকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারছি না।

তিনি বলেন, সেনা ক্যাম্প, হাসপাতাল, সরকারি অফিস ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকার কারণে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের লোডশেডিং বেশি। আর লোডশেডিং থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুতের উৎপাদন স্বাভাবিক হলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরবর্তী সরকারের প্রতি আসিফ নজরুলের আহ্বান

পাসপোর্ট অফিস থেকে রোহিঙ্গা যুবক আটক

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়ার সুস্থতা প্রয়োজন : মান্নান

এভারকেয়ারে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ব্যারিকেড

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

খালেদা জিয়া কাঁদলে বাংলাদেশ কাঁদে : আমান

ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

গভীর রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ কৃষি সহযোগিতায় নতুন অঙ্গীকার

সরকার কড়াইলের বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকারের তোয়াক্কা করছে না : সাকি

১০

কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

১১

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন

১২

পরিবারকল্যাণ কর্মীদের ১০ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

১৩

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও সদকায়ে জারিয়া

১৪

শেবাচিম হাসপাতালে চালু হলো মৃগী রোগীদের ইইজি পরীক্ষা

১৫

রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যেসব সুবিধা পান

১৬

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহার শুরু করল চসিক

১৭

ববি শিক্ষার্থীকে রাতভর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

১৮

এনসিপির কমিটি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে, সাংবাদিকদের হেনস্তা-তালাবদ্ধ করার হুমকি

১৯

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য আ.লীগ সরকার দায়ী : মুশফিকুর রহমান

২০
X