পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভবন নির্মাণে অনিয়ম, ভেঙে দিল এলাকাবাসী

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী। ছবি : কালবেলা
নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী। ছবি : কালবেলা

জয়পুরহাটে বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ইটের দেওয়াল ও ইট ভেঙে ফেলেছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণ করে ভালো মানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে নতুন করে ভবন নির্মাণের কথা জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার রামতনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। মাঠের পাশে খামাল দিয়ে রাখা হয়েছে নিম্নমানের ইট। আর সেই ইট দিয়ে ভবনের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের ইট দিয়ে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে এলাকাবাসী বাধা দিলেও তার তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ করছে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে এসব নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের দেওয়াল হাত ও পা দিয়ে গুঁড়িয়ে ভেঙে ফেলে দেয়। এ সময় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়টির একাডেমিক ভবনের কাজ শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে করেছে। আমরা বাধা দিলেও প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো গুরুত্ব দেয়নি। তারা অনিয়ম করে কাজ চালিয়ে আসছিল এতদিন। এ কারণে আমরা কোনো প্রতিকার না পেয়ে এলাকাবাসী মিলে বিদ্যালয় ভবনে নিম্নমানের ইট দিয়ে তৈরি দেওয়াল ভেঙে দিয়েছি এবং এসব ইট, বালু অপসারণ করে ভালোভাবে কাজ করার দাবি জানাচ্ছি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার মো. সবুর হোসেন বলেন, এখানে নিম্নমানের ইট দিয়ে স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। এলাকাবাসী তাতে বাধা দিয়েছে। আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। নিম্নমানের ইট অপসারণ করে তারপর নতুন ইট এনে আমরা কাজ শুরু করব। তাছাড়া আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার। আমার দায়িত্ব ঠিকাদারের সব মালামাল দেখাশোনা করা।

রামতনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। স্কুল বন্ধ ছিল। সে সুযোগে ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের ইট এনে কাজ শুরু করেছে।

পাঁচবিবি প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, রামতনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুলের কোনো কাজ হবে না। ভালো মানের সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহত

বৃষ্টি আর কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব, যা বললেন ছেলে জয়

শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

১০

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

১১

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

১২

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

১৩

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

১৪

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১৫

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১৬

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১৭

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৮

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৯

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

২০
X