খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান দিদারের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জমির মালিকদের পক্ষে ফেরদৌস সানা বলেন, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের গোবরা পূর্বচক গ্রামের সালাম গাজীর ছেলে মেহেদী হাসান দিদারের নেতৃত্বে একদল লোক এসে আমার বাড়ির সামনে পূর্বচক গ্রামে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা বাধা দিতে গেলে তিনিসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করে যখম করে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালেও কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমার স্ত্রী ও বড় ভাই মারাত্মক জখম অবস্থায় কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ মুহূর্তে তিনি ভাড়াটিয়া হিসেবে আমাদের পৈতৃক জমি পুনরায় দখলের হুমকিসহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, এর আগেও ওই জমি দখলে নিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে মেহেদী হাসান দিদার একাধিকবার আমাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা ন্যায়বিচার কামনা করেন।
কয়রা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, গোবরা পূর্বচকে জমি জবরদখলের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান দিদারের নিকট অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নেই। প্রতিপক্ষরা আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানির চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন