গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে রাঙামাটির ২১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে বৃষ্টি কর্মায় গত দুদিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। বাঘাইছড়ি পৌরসভার উঁচু অঞ্চল থেকে পানি সরে গেলেও নিম্নাঞ্চল এখনও প্লাবিত। এ ছাড়াও বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে পানি নেমে গেছে।
বর্তমানে বাঘাইছড়ি, সদর ও বরকল উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি রয়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রতিনিয়ত বাড়ায় রাঙামাটি শহরের পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। বর্তমানে শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০১.৪৫ এমএসএল পানি রয়েছে কিন্তু হ্রদে এই সময় ৯২ এমএসএল পানি থাকার কথা।
দুপুরে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে ৩০ টন খাদ্যশস্য ও ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার আমরা পাঠিয়েছি। সব একসঙ্গে না পৌঁছালেও আজকের মধ্যে পৌঁছে যাবে। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তা বিতরণ করা হবে দুর্গত এলাকায়।
তিনি জানান, বৃষ্টি কমে আসায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন