দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, গত ৫ আগস্টে আমাদের যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেই ঐক্য গত পাঁচ মাসে কমে গেছে। ঐক্যে চিড় ধরার কারণে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ একের পর এক কার্ড খেলছে। আমরা যদি ৫ আগস্টের ঐক্য ধরে রাখতে পারতাম, আপনাদের আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, ভারত এতদিনে আত্মসমর্পণ ও বাংলাদেশের পরিবর্তন মেনে নিত। বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা তারা করত না। ফাটল দৃশ্যমান হওয়ায় ভারত হাল ছাড়ছে না।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা ও সাংবাদিকের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ত্যাগ তিতিক্ষার পর বাংলাদেশ আবার নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আপনারা ভাববেন না, ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ এত সহজে তাদের এত বড় পরাজয় মেনে নেবে। গত পাঁচ মাস ধরে আপনারা দেখছেন তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। একের পর এক কার্ড খেলে যাচ্ছে। আপনাদের এখান (চট্টগ্রাম) থেকেই তো ইসকন কার্ড খেলা হয়েছিল। একেকটা কার্ডে পরাজিত হচ্ছে আবার নতুন কার্ড নিয়ে আসছে।
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, গত দুদিন ধরে তারা একটি কার্ড খেলার চেষ্টা করছে। ড. ইউনুস নাকি পদত্যাগ করেছেন। ফেসবুকে তারা একটি ভুয়া পদত্যাগপত্র ভাইরাল করার চেষ্টা করেছিল। তরুণ উপদেষ্টাদের কথা বলেছে, তারা নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় তো পতিত ফ্যাসিবাদের ক্যাডাররা মিছিল করার চেষ্টা করেছে। পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করেছে। এগুলো পাশের দেশের এক একটা কার্ড। তারা হাল ছাড়ছে না।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ আবার ৫ আগস্টের ঐক্যে ফিরে যাওয়া। রাজনৈতিক দল, ছাত্রজনতা ও পেশাজীবী আপনারা যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছিলেন সেটাতে ফিরে আসুন। পুরাতন রাজনৈতিক দলগুলোর অভিজ্ঞতা বেশি। তাদের কাছে অনুরোধ, একটু শান্ত হোন। আপনাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ আছে, তা আলাপ আলোচনার মধ্যে সমাধান করুন। আপনারা ভারতকে আবার বাংলাদেশের প্রধান করার সুযোগ দেবেন না। যদি দেন ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার চট্টগ্রামের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি। ক্লাবের সদস্য শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাসসের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শাহনওয়াজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন