আওয়ামী লীগের কর্মীকে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে পদায়ন করার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদুল হক জনি।
অভিযোগে বলা হয়, রামু উপজেলার সদর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ৮নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মো. শাজাহান ওরফে হপ্পি শাজাহানকে। প্রকৃতপক্ষে তিনি সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ ছাড়া সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের তত্ত্বাবধানে রামু স্টেডিয়ামে আয়োজিত শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি প্রতিবছর গরু দান করে সহযোগিতা করতেন।
অভিযোগ লিপিতে আরও বলা হয়, তিনি নৌকার পক্ষে নির্বাচনী নৌকা প্রতীক সংবলিত কার্ড ঝুলিয়ে ভোট করেছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে পদায়িত হওয়ার পর তিনি সাধারণ মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদুল হক জনি।
এদিকে রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মো. শাজাহানের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, তিনি নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এ ছাড়াও সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গে মো. শাজাহানের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম জানান, তিনি বিগত ১৫ বছরে বিএনপির কোনো মিটিং-মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না। সম্প্রতি নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালানোর কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়া বলেন, আমরা জানতাম তিনি আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্তু সদ্য ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে পদায়ন হওয়ায় আমরা হতবাক হয়েছি। কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না। আমরা তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছি।
এসব বিষয়ে জানতে মো. শাজাহানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন