বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খুমেকে মিলল ব্যক্তিগত প্যাথলোজি, দেওয়া হতো ‘ভুয়া রিপোর্ট’ 

খুমেকে অভিযান চালানো হয় ভুয়া রিপোর্ট তৈরির গায়েবি প্যাথলোজিতে। ছবি : কালবেলা
খুমেকে অভিযান চালানো হয় ভুয়া রিপোর্ট তৈরির গায়েবি প্যাথলোজিতে। ছবি : কালবেলা

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে মিলল ব্যক্তিগত প্যাথলোজির সন্ধান। হাসপাতালের নিচতলার এআরটি সেন্টারের ল্যাবে সিনডিড নামে একটি প্যাথলোজি চালান হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভুয়া ল্যাবের প্যাড, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মানহীন রিএজেন্ট ও রিপোর্ট প্রিন্ট করার জন্য ল্যাপটপ ও প্রিন্টার।

এদিকে সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই এমন ভয়াবহ অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নাগরিক সমাজ।

জানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ১৩০ নম্বর রুম। এইডস আক্রান্ত রোগীদের ভাইরাল লোড পরীক্ষা করার জন্য এই রুমটি ব্যবহার করা হয়। রুমে একটি সরকারি ফ্রিজে সরকারি রিএজেন্ট এবং ভাইরাল লোড পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি রয়েছে। এই ল্যাবের একমাত্র মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মো. সেলিমুজ্জামান। সরকারি হাসপাতালে বসে দীর্ঘদিন ভয়াবহ প্রতারণা করে আসছে রোগীদের সাথে। নিজের ছেলের নামে গায়েবি প্যাথলজি বানিয়ে তার প্যাড রেখেছেন এই ল্যাবে। ভুয়া রিপোর্ট প্রিন্ট করার জন্য বাইরে থেকে নিজেই কিনে এনেছেন প্রিন্টার। সব মিলে গায়েবি প্যাথলোজির ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেবে ঠকছেন সাধারণ রোগীরা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান অভিযান চালান এই ভুয়া রিপোর্ট তৈরির গায়েবি প্যাথলোজিতে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেলিমুজ্জামানের সিনডিড ডায়াগনস্টিক এন্ড রিসার্স সেন্টার নামে একটি গায়েবি প্যাথলজির শত শত রিপোর্ট প্যাড। ভুয়া রিপোর্ট তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ এবং প্রিন্টার। সরকারি ফ্রিজের ভিতরে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট এবং মানহীন রিএজেন্ট। এছাড়া গায়েবি রিপোর্টে সব জেনেও যারা চুপ থাকেন তাদের জন্য রয়েছে মোটা কমিশন। উদ্ধার হয়েছে কমিশনের রেজিস্ট্রার খাতাও। সেখানে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নিরাপত্তা বাহিনী আনসারের নামও।

ডা. মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে এমন খবর আসছিল যে হাসপাতালের মধ্যেই গায়েবি প্যাথলোজি খুলেছেন সেলিমুজ্জামান নামে এক মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সকল তথ্য প্রমাণসহ তাকে পরিচালক স্যারের রুমে নিয়ে আসি। সেখানে উপ-পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক স্যাররাও ছিলেন। সে উন্নয়ন খাতের কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম চলবে না খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

অভিযুক্ত মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, আমি কয়েকদিনের জন্য মাত্র এটি করেছিলাম। এখন আর করি না। কিন্তু এগুলো সরানো হয়নি। আমি এখানে এগুলো ব্যক্তিগত রিসার্চের জন্য সামান্য করতাম। আমার বাসায় মেশিন আছে সেখান থেকে টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট এনে দিতাম। তবে এগুলো বেশ কিছুদিন আগে থেকে বন্ধ করেছি। এখন আর করি না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

১০

‘বিষাক্ত মদ’ পানে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের স্বামীর মৃত্যু

১১

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

১২

ঢাকা উত্তর সিটিতে জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে

১৩

শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে খালেদা জিয়া

১৪

জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ নারী ফুটবল দলকে গণসংবর্ধনা

১৫

দুই বছর আগের মামলায় নতুন করে ‘আসামি’ সাংবাদিক

১৬

বদলির আদেশের ৩ সপ্তাহ পরও অফিস করছেন রাসিক সচিব

১৭

অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ মারা গেছেন

১৮

চার দিন ধরে নিখোঁজ বিকাশ কর্মী ওমর ফারুক

১৯

ওসির বিরুদ্ধে দুর্বল ধারার অভিযোগ, আ.লীগ নেতার ৩ সন্তানের জামিন

২০
X