মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাতছড়িতে টিকে আছে একটি মাত্র ‘আসামি বানর’

সাতছড়ি বনে থাকা একমাত্র ‘আসামি বানর’। ছবি : কালবেলা
সাতছড়ি বনে থাকা একমাত্র ‘আসামি বানর’। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কয়েক বছর ধরে টিকে আছে একটি মাত্র বিরল প্রজাতির একটি ‘আসামি বানর’। এই প্রজাতিটিকে ভারতের আসামে বেশি দেখা মেলে, তাই এই নামকরণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে সাতছড়ি উদ্যানে বানরটিকে নিঃসঙ্গভাবে উদ্যানের স্টুডেন্ট ডরমেটরি ও রেস্টুরেন্টে আশপাশে ঘুরতে দেখা যায়। ব্যতিক্রম প্রজাতির হওয়ায় দেশীয় বানর কিংবা অন্য বানরজাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে তেমন ঘুরতে পারে না। তাই প্রায়ই একে দলছুট থাকতে দেখা যায়। বন্যপ্রাণী সংশ্লিষ্টরা জানান, বানরটির জোড়া মেলানো প্রয়োজন। প্রয়োজনে ভারত তথা বিদেশ থেকে কিছু প্রজাতির এই আসামি বানর এনে এই বনে অবমুক্ত করলে এই বানরটির জন্য প্রজননে সহায়ক হবে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই বানরটিকে বিষণ্ন অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। অনেকে ছবি তুলে বিরক্ত করে বানরটিকে। আবার কেউ কেউ বানরটি পাচারের আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন।

স্থানীয় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আসামি প্রজাতির বানটি নিঃসঙ্গভাবে চলাফেরা করে। সম্ভাবনা রয়েছে এটি দেশি প্রজাতির সঙ্গে প্রজনন করে শংকর জাতের উদ্ভাবন করতে পারে। তবে এটির জোড়া মেলানো প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, বিরল ও বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী ‘আসামি বানর’। আসাম বান্দর বা বোঢ়া বানর নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম আসামিজ/আসাম/হিমালয়ান ম্যাকাক। সারকোপিথেসিডি গোত্রের প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘Macaca assamensis’। এরা বড় আকারের বানর, তবে অন্যান্য বানর প্রজাতির তুলনায় লেজ বেশ খাটো। নাকের আগা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫১ থেকে ৭৩ সেন্টিমিটার। লেজ ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার। পুরুষের ওজন ১০ থেকে ১৪ কেজি এবং স্ত্রীর ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি। মাথা বড় ও বর্গাকার। মুখমণ্ডল চওড়া ও গাঢ় বাদামি থেকে লালচে। দেহের ওপরের লোমের রং বাদামি-ধূসর, নিচের লোম সাদাটে-ধূসর।

আসামি বানর’ মিশ্র চিরসবুজ পাহাড়ি বনের বাসিন্দা। দিবাচর, বৃক্ষবাসী ও ভূমিচারী প্রাণীগুলো বেশ লাজুক। সচরাচর পুরুষ, স্ত্রী, বাচ্চাসহ ৫ থেকে ১৫টির দলে বাস করে। দলে একাধিক পূর্ণবয়স্ক পুরুষ থাকতে পারে। ফল, পাতা, ফুল, শস্যদানা, কীটপতঙ্গ, ছোট মেরুদণ্ডী প্রাণী ইত্যাদি খায়। গভীর বনের বাসিন্দা হলেও নেপাল ও ভারতে খাবারের জন্য ফসলের খেতে হানা দেওয়ারও তথ্য রয়েছে। নিচু ও মোলায়েম সুরে ‘পিউ-পিউ’ স্বরে ডাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানের যে প্রযুক্তির কাছে নাকানিচুবানি খাচ্ছে ইসরায়েল

ইরানের হামলায় ইসরায়েলি তেল পরিশোধনাগার বিধ্বস্ত

সামরিক অভিযানে গাজায় ৪৩১ ইসরায়েলি সেনা নিহত 

এরদোয়ানের সঙ্গে পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ

চীনের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উত্তেজনা

ইসরায়েলের চতুর্থ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে হামলা শুরু করেছে ইরান

ইরানে অস্ত্র ভরা বিমান পাঠিয়েছে চীন

‘আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হবে’

ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলার প্রস্তুতি ইরানের

১০

আবাসিক হোটেলে ‘সাংবাদিক’ সেজে অভিযান চালানো সেই হান্নান আটক

১১

সাভারে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ছিনতাইকারী আটক

১২

সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

১৩

দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ / স্থানীয় ও বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো চায়ের নিলাম বর্জন

১৪

তেল আবিবের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলল ইরান

১৫

এবার ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

১৬

প্রবাসীদের স্বপ্নগুলো কী অধরাই থেকে যাবে?

১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত শতাধিক

১৮

কাঠমান্ডু ডিক্লারেশন / মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা বিস্তারে ভূমিকা রাখতে সার্ক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান

১৯

একের পর এক টেলিকম কর্মী অপহরণ, সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা

২০
X