বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমিত্ব ভাব পরিত্যাগ করতে হবে : চরমোনাই পীর

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় চরমোনাই মাহফিল। ছবি : কালবেলা
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় চরমোনাই মাহফিল। ছবি : কালবেলা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরি পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে, সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় চরমোনাই মাহফিলের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

পরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী লাখ মুসল্লির আধ্যাত্মিক মিলনমেলা ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল।

সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে চরমোনাই পীর আরও বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মতো মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই, ওই মানুষ এমনকি আলেম, মুফতি ও পীরের কোনো মূল্য নেই।

তিনি বলেন, সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে কলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গিবতের মতো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে দ্বীনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে পর্দা জারি করতে হবে। সব ধরনের নেশাজাতদ্রব্য থেকে বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালিমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। সহীহ শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।

সমাপনী অধিবেশনে চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চরমোনাই পীর। পাশাপাশি ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।

মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে ১০ জন বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। জানাজা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এবারের মাহফিলে চারজন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাইফা তেল আবিবে ও নেগেভ বিমানঘাঁটিতে আঘাত করেছে ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র

কী কথা বললেন এরদোয়ান-ট্রাম্প?

ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ছাত্রের হাত ভেঙে দিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

কোল্ড স্টোরেজে ভাড়া বৃদ্ধি প্রতিবাদে আলু চাষিদের বিক্ষোভ

নরসিংদীতে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৪

জনগণই বিএনপির মূল শক্তি : খোকন

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হবে আন্তর্জাতিক টুরিস্ট স্পট : চসিক মেয়র

দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, যুবদল নেতাকে বহিষ্কার

সিলেট ওসমানী মেডিকেলে কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

‘৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার পলায়ন বাংলাদেশের বিপ্লবের ইতিহাসের স্বর্ণালী দিন’

১০

খামেনির ওপর হামলার বিষয়ে যে অবস্থান নিলেন ট্রাম্প

১১

এবার এইচএসসি পরীক্ষায় আসনের দূরত্ব বাড়ছে

১২

ইসরায়েলের হামলা নিয়ে আসল সত্য বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

১৩

ইরানে হামলা ঠেকাতে বিল আনছেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স

১৪

শেষ মুহূর্তে ক্লাব বিশ্বকাপে ঢুকতে চেয়েছিল বার্সা, ফিফা বলল ‘না’

১৫

তফশিল ঘোষণার সময় জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৬

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

১৭

আ.লীগ গণঅধিকার পরিষদকে ১০টি আসন অফার করেছিল : ফারুক হাসান

১৮

আর্থিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে লা লিগার কাছে বার্সার ‘ঐতিহাসিক’ দাবি

১৯

সমঝোতার নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না : বুলবুল

২০
X