নাটোরের লালপুরে নান্দরায়পুর মনসা পূজার মেলায় মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে তর্কের জেরে ছুরিকাঘাতে নাজমুল হোসেন (২৬) নামে এক যুবক খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারনামীয় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০) লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ ভোর রাতে নিহতের বাবা মো. আব্দুল আজিজ সরদার বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ৭ জনসহ অজ্ঞাত ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নান্দরায়পুর গ্রামের নাছের আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন (২২) ও ময়না গ্রামের আমজেদ আলীর ছেলে আলী আজম (২৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের নান্দরায়পুর (বটতলা) গ্রামে মনসা পূজার মেলায় একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কসমেটিক ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন (২৬) মেলায় যায়।
মেলায় আগতদের মোটরসাইকেল রাখার জন্য অর্থের বিনিময়ে ‘গ্যারেজে’র ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এ সময় গ্যারেজের কর্মচারীরা নাজমুলকে মোটরসাইকেল তাদের গ্যারেজ রাখার কথা বলে। কিন্তু রাখতে রাজি না হওয়ায় গ্যারেজ মালিকসহ কয়েকজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
একপর্যায়ে গ্যারেজের মালিক একই গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে জিয়াউর রহমানের (২৪) হাতে থাকা চাকু দিয়ে নাজমুল হোসেনকে আঘাত করে। এতে নাজমুল রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে আমির হোসেন নামে তার এক আত্মীয় লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সোহেল রানা বলেন, নিহতের ডান পায়ের উরুতে ধারালো ছুরির আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের ইনজুরির ৫ মিনিটের মধ্যেই রক্তক্ষরণে একজন মানুষ মারা যেতে পারে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপেন্দ্রনাথ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, সন্ধ্যায় তাঁরা মন্ডপ ত্যাগ করার পরেই এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে মৃত্যুর খবর পান।
লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আজ এজাহারনামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন