নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঘণ্টাব্যাপী কিশোর গ্যাংয়ের ব্যাপক তাণ্ডব। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ ১২ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রগ কেটে আহত করেছে। ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান ও বাসাবাড়ি। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের অর্ধশতাধিক সদস্য গত শনিবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মাসদাইর তালা কারখানা মোড় থেকে, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ঈদগাহ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় এ তাণ্ডব চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাসদাইর কবরস্থান এলাকার সাব্বির গ্রুপের লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় অমি গ্রুপের লোকজনকে খোঁজ করতে এসে এ তাণ্ডব চালায়। এ সময় ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। পরে সড়কের পাশের দোকান, রেস্টুরেন্ট ও বাসাবাড়ি ভাঙচুর ও কুপিয়ে তছনছ করে। এ সময় ওই সড়কে যাকে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে জখম করেছে। এদের মধ্যে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মারুফ রয়েছেন। একজন মুদি দোকানদার ও এক যুবকের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। আহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ জানান, সাদা পোশাকে মোটরসাইকেলে করে ফতুল্লা থানা থেকে রূপগঞ্জ থানায় যাওয়ার পথে মাসদাইর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে ওই সন্ত্রাসীরা আমাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা বলতে থাকে, বাইরে আসলেই কোপামু। কেন কী কারণে তারা হামলা চালিয়েছে, কিছুই বুঝতে পারলাম না। তাদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতাও নেই।
নাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, এক পক্ষের লোকজন অন্য পক্ষের লোকজনকে খুঁজতে গিয়েছিল। তাদের না পেয়ে এলাকার সাধারণ লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা যাকে পেয়েছে, তাকেই মারধর করেছে। আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণি ক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন