সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪১ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে আব্দুল মোমিন (৩৮) নামে এক তাঁত শ্রমিকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) দুপুরে ছোনগাছা ইউনিয়নের ডিগ্রিপাড়া কবরস্থান থেকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম রাকিবুল হাসানের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজওয়ানুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শিমুল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
সদর থানার এসআই জসিম উদ্দিন বলেন, আব্দুল মোমিনকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, গত ১১ জুলাই তার স্বামী আব্দুল মোমিন নিজ বাড়িতে ঘর তোলার জন্য মাটি কাটছিলেন। এ নিয়ে শ্বশুড় ও দুই বড় ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই আব্দুল মালেক ও আব্দুল মান্নান ইউক্যালিপটাস ডাল দিয়ে আব্দুল মোমিনকে বেধড়ক পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। মারধরের পর তাকে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে লুকিয়ে রাখে। গত ১৪ জুলাই অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন দুপুরেই আব্দুল মোমিন মারা যান।
মৃত্যুর পর তরিঘরি করে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তখন বলা হয়, মরদেহ ডোম দিয়ে কাঁটাছেঁড়া করলে ধর্মীয় বিধান লঙ্ঘন হবে। থানাতেও জানাতে নিষেধ করা হয়। এরপর মোমিনের দাফন সম্পন্ন হয়।
গত ১৬ জুলাই তারিখে এই হত্যা মামলাটি মিমাংসা করতে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্না, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ইউ,পি সদস্য জহুরুল ইসলাম এবং পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামসহ এলাকার মুরুব্বী নিয়ে বৈঠক বসলে সেখানে বাদী তার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
পরে গত ১০ আগষ্ট তিনজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন