বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে বিএনপির দুগ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৫

বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহতদের এভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি : কালবেলা
বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহতদের এভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি : কালবেলা

রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়।

দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পৌর এলাকায়। ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি দোকান নিয়ে মালিক ও ভাড়াটিয়ার দ্বন্দ্বের জেরে তাদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মানিকের অনুসারীরা।

শহরের শহীদ মিনারের পাশে কালুপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ইশতিয়াক বাবুর একটি দোকান ভাড়া নিয়ে টিনের ব্যবসা করতেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম। গত মাসের দিকে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে জানিয়ে জাহিদুল ইসলামকে দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবু। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর দাবি, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ঈদের পরের দিন দোকানে তালা লাগিয়ে দোকান বন্ধ করে দেন মালিক ইশতিয়াক বাবু।

এ ঘটনায় দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবুর পক্ষে মোহাম্মদ আলী সরকার ও ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামের পক্ষ নেয় শহিদুল হক মানিক। শুক্রবার মোহাম্মদ আলী সরকারকে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেন শহিদুল হক মানিকের ছেলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য তানভীর আহমেদ তামাল। এতে ক্ষিপ্ত হয় মোহাম্মদ আলী সরকারের অনুসারীরা।

এদিকে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে শনিবার সকালে মানববন্ধনের আয়োজন করেন ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম। এসময় মোহাম্মদ আলী সরকারের অনুসারীরা মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নিলে শুরু হয় দুগ্রুপের সংঘর্ষ। এতে আহত হন দুপক্ষের ১৫ জন।

গুরুতর আহতরা হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের লাভলু মিয়া (৫০), কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর গ্রামের বৈরামপুর গ্রামের মোক্তারুল (৪৫), পাঠানপাড়া গ্রামের মুন্নাফ (৫০), লোহানীপাড়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম (৪৫), একই ইউনিয়নের ময়নাল হোসেন (২৫)।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান কালবেলাকে বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় এজাহার পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

প্রকৌশলীদের উন্নয়ন ও সংস্কার নিয়ে আইইবি’র মতবিনিময় সভা 

সৈয়দপুরে শাটল বাস সার্ভিস চালু করল বিমান

প্রকৌশলীদের অধিকার আদায়ে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সার্জেন্ট হেলালের সাহসিকতায় ২ ছিনতাইকারী আটক

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ‘মহান মে দিবস’ আজ

নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, প্রশাসনের সতর্কতা

রাজধানী থেকে পুরনো যানবাহন সরাতে অ্যাকশনে নামছে বিআরটিএ

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনওকে বদলি

ববি প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজা

১০

স্কুলের ১৮টি গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

১১

শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর, ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে চিঠি

১২

আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে কুপিয়ে হত্যা

১৩

বাবরি মসজিদ বানাবেন পাকিস্তানি সেনারা : পাকিস্তানের সিনেটর

১৪

কাশ্মীর হামলার পর চাপে ভারতের মুসলিমরা, বেড়েছে দমনপীড়ন

১৫

ছাত্রদের ক্ষমতায় এনে দেশের ক্ষতি করা হয়েছে : সোহেল

১৬

সন্ধ্যা নদীতে বাঁধ নির্মাণের দাবি

১৭

মে মাসে হতে পারে ২টি ঘূর্ণিঝড়

১৮

শ্রমিক সমাবেশে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান

১৯

ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা ইসরায়েলে

২০
X