আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে, মনে স্বস্তি ফিরেছে রোপা আমন চাষিদের। মাঠজুড়ে আমনের ক্ষেতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সরজমিনে এমনি চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের খানসামার বিভিন্ন ফসলের মাঠে।
অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে পানির জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ভরা মৌসুমে আষাঢ়ের আকাশে বৃষ্টির দেখা মিলছিল না। এতে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি অনেক কৃষক। তবুও থেমে থাকেনি, আমনের শুরুতে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি কিনে ধান রোপণ করেছেন চাষিরা।
মাঠ ঘুরে আরও দেখা যায়, কম-বেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে, কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসির ছাপ।
গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক লিটন কালবেলাকে বলেন, কৃষিনির্ভর আমাদের উপজেলা। আমরা বর্তমানে ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। এবার বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।
আরেক আমন চাষি নজরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, যদি কোনো দুর্যোগ, রোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলন খুব ভালো হবে। রোগ বালাই দমনে প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে থেকে তদারকি করছে। আশা করছি আমিসহ কৃষকরা এবার ভালো আমন ধানের ফলন পাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার কালবেলাকে জানিয়েছেন, এ বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান পাওয়ার আশা করা হচ্ছে ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৫৮৮ টন। তবে এবার অনেক আমন চাষি সেচ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে। এতে ব্যয় বেড়েছে অনেক কৃষকের।
মন্তব্য করুন