খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন ও এএসআই ইশতিয়াককে প্রত্যাহারের দাবিতে থানা ঘেরাও করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় খানজাহান আলী থানার সামনে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
যুবদল নেতা মামুন ভুঁইয়া পাপনের মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে এ থানা ঘেরাও কর্মসূচি করেছে বিএনপি। এসময় শিরোমণি শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে অবিলম্বে খান জাহান আলি থানার ওসি ও এএসআইকে প্রত্যাহার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে কেএমপি কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা। কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ৫ আগস্টের পর সমাবেশ করে কারো বিরুদ্ধে এভাবে বলতে হবে এটি কথা ছিল না। এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন থানায় অবস্থান করছে। আমরা বাধ্য হয়ে আজ এই সমাবেশ করছি। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি চাই।
পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, কাদের পরামর্শে, কাদের ইন্ধনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কেন আপনারা এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন?
কেএমপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আজ আমরা ছোট্ট সমাবেশ করছি। এই সমাবেশ যদি জনসমুদ্রে রূপ নেয় আপনি কেন? কেএমপির কোনো পুলিশ রেখাই পাবে না।
এসময় নেতাকর্মীরা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খান জাহান আলী থানার আওয়ামী লীগের দোসর ওসি, এসআইসহ যেসব সদস্য পুলিশের চাকরিতে বহাল আছে তাদেরকে প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রশাসনকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, আপনারা শুধু একটি জিনিস মনে রাখবেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতা আপনাদের কর্তৃত্ববাদকে রুখে দিয়েছিল। এবারও যদি আপনারা অযাচিত নিরপরাধ মানুষদের অন্যায় অত্যাচার করেন তাহলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জুলাই আন্দোলনের স্পৃহাকে সামনে রেখে আগামী দিনেও খুলনার রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
এর আগে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নগরীর ফুলবাড়ি গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে যুবদল নেতা পাপনের মুক্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও থানা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।
মন্তব্য করুন