আলোয় আলোয় যুদ্ধ থামাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাসহ মেহেরপুরে অবৈধ এলইডি লাইট বিরোধী অভিযানে নেমেছে ট্রাফিক বিভাগ। এর আগে দৈনিক কালবেলায় অবৈধ এলইডি লাইটের অপব্যবহার এবং এর কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত রিপোর্টটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন।
জানা গেছে, এলইডি ফগ লাইট শীতকালে ঘন কুয়াশায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত এবং এলইডি সার্চলাইট ও লেজার লাইট শুধুমাত্র ইমারজেন্সি সার্ভিসের জন্য অনুমোদিত। কিন্তু মেহেরপুর শহরের সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে এমনকি গ্রামের পাড়া মহল্লাতে দেদারছে অবৈধ এলইডি লাইটের ব্যবহার হচ্ছে। সড়কে চলাচল করা প্রায় প্রতিটি অটোভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ অবৈধ আলগামন, নসিমন, করিমন এবং লাটাহাম্বারের মতো যানবাহনেও ব্যাপক হারে দেখা যায় এসব অবৈধ লাইট। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এসব লাইটের আলোর কারণে চোখের নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে জেলার ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যৌথ বাহিনীর সহায়তা নিয়ে অননুমোদিত এলইডি লাইট বিরোধী এই অভিযান শুরু করছে। প্রথমদিকে শুধু সচেতন করলেও ধীরে ধীরে কঠোর হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। এখন মোটরযান থেকে অবৈধ এলইডি লাইট খুলে নিয়ে জব্দ করা সহ জরিমানা করা হচ্ছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘যানবহনে এলইডি লাইট এবং হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ। গত ১৮ ও ২০ এপ্রিল দৈনিক কালবেলাতে ‘রাতের সড়কে এলইডি লাইট যেন মরণ ফাঁদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এরপর থেকে কয়েক দফা যানবাহন চালকদের এলইডি লাইট খুলে ফেলতে সতর্ক করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে এবার মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের এলইডি সার্চ এবং লেজার লাইট খুলে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জরিমানাও করা হচ্ছে। জেলা ব্যাপী আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
মন্তব্য করুন