লিগা এমএক্স জায়ান্ট টাইগ্রেসের বিপক্ষে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। কিন্তু জয় ছাপিয়ে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একজনের অনুপস্থিতি—লিওনেল মেসি।
মায়ামির সমর্থকরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় ছিলেন হয়তো বেঞ্চে হলেও থাকবেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। কিন্তু ঘোষিত একাদশে কিংবা বদলি তালিকায় কোথাও দেখা গেল না তার নাম। ম্যাচের আগে স্ট্রিট পোশাকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেখা যায় মেসিকে। তখনই ধারণা জোরালো হয়, তিনি মাঠে নামছেন না।
গত সপ্তাহে এলএ গ্যালাক্সির বিপক্ষে ৪৫ মিনিট খেলেছিলেন মেসি। গোল ও অ্যাসিস্টে জ্বলে উঠলেও খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে হাত দিতে দেখা যায় তাকে। ম্যাচ শেষে কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো জানিয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ, লিও দলের সঙ্গে অনুশীলন করেনি। আলাদাভাবে ট্রেনিং করেছে। ৪৫ মিনিট খেলেই অস্বস্তি বোধ করছিল। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি, ওর শারীরিক অবস্থাই শেষ সিদ্ধান্ত দেবে।’
চোটটা নতুন কিছু নয়। লিগস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নেকাক্সার বিপক্ষে খেলার মাত্র ১১ মিনিট পরই মাঠ ছাড়তে হয় মেসিকে। এরপর টানা দুই ম্যাচ মিস করেন। ফিরেই আবারো সমস্যায় পড়লেন হ্যামস্ট্রিংয়ে। ফলে এখনো ফেরা হয়ে উঠল না পূর্ণমাত্রায়।
তবে মায়ামির জন্য কিছুটা স্বস্তি—দলের আরেক আর্জেন্টাইন তারকা রদ্রিগো দে পল ফিরেন একাদশে। ২০২৩ সালের শিরোপা জয়ী দল এবারো ট্রফি পুনরুদ্ধারের মিশনে আছে। কিন্তু কোয়ার্টারে টাইগ্রেসের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে মেসির অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ছিল যদিও সুয়ারেজের জোড়া গোল সেটি বুঝতে দেয়নি।
এখন প্রশ্ন—আর্জেন্টাইন জাদুকরকে ছাড়া মায়ামি কতটা লড়াই করতে পারবে, আর মেসি কবে ফিরবেন মাঠে? সমর্থকদের চোখ এখন সেই উত্তরের অপেক্ষায়।
মন্তব্য করুন