প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটপিয়ারী এলাকায় যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, হাই স্কুল ও প্রাইমারি স্কুলসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই নদীভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে যমুনা পাড়ের মানুষগুলো।
বুধবার (৭ মে) ভাটপিয়ারী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর প্রায় কয়েকশো মিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়ে গেছে।
এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে বুধবার দুপুর থেকে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে স্থানীয়রা ভাঙন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
কথা হয়, আব্দুল হামিদ, আমজাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান, আবু তাহেরসহ ভাটপিয়ারী গ্রামের কয়েক কৃষকের সঙ্গে। তারা বলেন, যমুনার ভাঙনে ভাটপিয়ারী গ্রামটি পুরোই নদীগর্ভে চলে গেছে। দফায় দফায় বাড়িঘর ভেঙে এখানকার কৃষকেরা ওয়াপদা'র পাশের আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাঙনে কৃষকেরা আতঙ্কে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে তারা জানান। ভাঙনরোধ না হলে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী এলাকায় ভাঙন চলছে। এর পেছনেই স্থায়ী বাঁধ রয়েছে। বাঁধের সামনের চরটা মূলত ভাঙছে। আমরা অবজারভেশন করছি। তিন/চারমাস ধরে নদীটা সেখানে হিট করছে। একটা জায়গায় স্লাইড করছে। একটা জায়গায় ক্ষতি হয়েছে, সেখানে জিওব্যাগ ফেলছি। আশা করছি সেখানে কোনো সমস্যা হবে না।
মন্তব্য করুন