মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) ১৫ জনকে আটকের দুদিন পর কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (৯ মে) সকালে ধলই সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, গত বুধবার (৭ মে) ভোরবেলা ধলই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ‘পুশ ইন’ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে তাদের আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। আটকের পর তাদের ধলই সীমান্তের সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে দুদিন রাখা হয়।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ১৫ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। কয়েক বছর ধরে তারা ভারতের আসামে বসবাস করছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে জেলে পাঠায়। পরে তাদের সীমান্ত এলাকায় নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। পরে বিএসএফ তাদের সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে আটক ১৫ জনকে থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। আটকদের মধ্যে ১০ জন নড়াইল জেলার, ৩ জন খুলনা জেলার ও ২ জন বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা।
আটকরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া থানা এলাকার সুমন শেখ (৩৪), হাবিবুর (৪০), রাজিব শেখ (২৭), তার স্ত্রী সারমিন বেগম (২২), তাদের দুই ছেলে জুবায়ের শেখ (৪), ও ইয়াসিন শেখ (২), রফিকুল মোল্লা (৫৮), আবদুল সাত্তার মোল্লা (২৪), নড়াঘাতি থানার তুসার আলি মীর (২৮), খুলনা জেলার বৈঠাঘাটা থানার তরিকুল শেখ (২৪), তার স্ত্রী শান্তা শেখ (২৪), ছেলে মোহাম্মদ শেখ (৪), মেয়ে সুমাইয়া শেখ (৮), বাঘেরহাট জেলার রামপাল থানার হারিনা শেখ (৩০) ও তার ছেলে আবু হুরায়রা (৭)।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে আটকদের বিজিবি থানায় হস্তান্তর করেছে। এখন তাদের কি করা হবে তা বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন