শেখ হাসিনা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত না বলেই আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
সোমবার (১২ মে) বিকেলে রাজশাহী নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকায় কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস ও তাদের রাজনীতি করে। এটা বারবার প্রমাণ করেছে। কারণ বিএনপির জন্মই হয়েছিল এ দেশের মানুষের প্রয়োজনে। লড়াই সংগ্রাম করে সংকটে-সংগ্রামে জনগণের পাশে ছিল বলেই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। এ দলটিকে ধ্বংস এবং খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে মেরে ফেলার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু পারেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যাদের ওপর অত্যাচার করা ও জেলে ভরা হয়নি। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আছেন যাদের এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরও ৫ আগস্টে শেখ হাসিনাকে বিদায় করার পরে এখনো বিএনপি ধৈর্য ধরে বসে আছে।
বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম বলেন, এইবার আওয়ামী লীগের নির্মমভাবে পতন ঘটেছে। আ.লীগ নিষিদ্ধ ৫ আগস্টেই হয়ে গেছে। জনগণের ভয়ে পেছনের দরজা দিয়ে হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তবে শেখ হাসিনা পালালেও এখনো বাংলাদেশের ক্ষমতায় আছে তার দোসররা। বর্তমান সরকার তাদের বিরুদ্ধে এখনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ৫ আগস্ট এর পরে তারেক রহমান একবার আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার যদি হুকুম দিতেন তাহলে বাংলাদেশের রক্তের হোলি খেলা হতো। তিনি তা না করে সবাইকে ধর্য্যধারণ করার আহ্বান জানান। কারন বিএনপি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে।
সম্মেলনে নবনির্বাচিত সভাপতি মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মজিউল আহসান হিমেলের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, শফিকুল ইসলাম শাফিক ও বজলুল হক মন্টু।
এসময় নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোজিনা ও রিতা, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) বিএনপি সভাপতি আশরাফুল ইসলাম নিপু, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, চন্দ্রিমা থানার থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাহিজুল হক ফাহি, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম জনি, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বজলুজ্জামান মহন, মতিহার থানা বিএনপির সদস্য সচিব আল-মামুন বাবু, নগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও সিনিয়ির যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন