রাজশাহীতে একটি পরিবারকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে। আহত ভুক্তভোগী মো. রাকিব আল রেজা রিপন সোমবার (২০ মে) বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিপন জানান, তার ছোট বোনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলেন মো. রাজিব হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি রাজিবের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই রাজিব ও তার পরিবার মামলা তুলে নিতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। সর্বশেষ গত ১২ মে দুপুর ১টার দিকে রাজিব এবং তার সহযোগী শাহিন প্রকাশ্যে তার (রিপনের) পিতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে মাত্র ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে, রাজিব, তার বড় ভাই রাকিব এবং পিতা শাহিনসহ আরও কয়েকজন ‘আলমারি মডার্ন ফার্নিচার’ নামক তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
এ হামলায় রিপন গুরুতর আহত হন এবং তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথা ও হাতে ৭০টির বেশি সেলাই দিতে হয়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন, তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে এখনও চরম দুর্দশায় আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিপনের পরিবার দাবি করেন, মামলার প্রধান আসামি রাজিব ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রকাশ্যে তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে তারা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগী রিপন অভিযোগ করেন, রাজিব হোসেন বিএনপির রাজশাহী মহানগর ইউনিটের শাহ মখদুম থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থেকে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অপরাধ করছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি রাজশাহী মহানগর নেতাদের কাছে রাজিবকে দল থেকে বহিষ্কারের জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে ৩টি দাবি করেন যার প্রথমটি হচ্ছে মামলার প্রধান আসামি মো. রাজিব হোসেনকে দ্রুত গ্রেপ্তার, দ্বিতীয়টি হচ্ছে জামিনে মুক্ত অন্যান্য আসামিদের জামিন বাতিল ও সর্বশেষ তার পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিপনের সঙ্গে ছোট ভাই গোলাম নবীন রোকন এবং ছোট বোনের জামাতা হাবিবুর রহমান টনি উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত রাজিব হোসেনকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন