কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বিতর্কিত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ উল্লেখ করে কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপির পদবঞ্চিত নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় শহরস্থ এনএস রোড সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার, মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শামিমুল হাসান অপুসহ বিএনপির সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের পদবঞ্চিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীমুল হাসান অপু বলেন, কুষ্টিয়া জেলার বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এই কমিটি বাতিলের জন্য আমরা আন্দোলন করছি। বর্তমান জেলা বিএনপির বিতর্কিত আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার যেভাবে কুষ্টিয়া জেলায় বিএনপিকে ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তা নিন্দনীয়। এটা করার কোনো অধিকার তাদের নেই।
এসময় সামিমুল হাসান অপু আরও বলেন, বর্তমানে কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে নিষ্ক্রিয়, আওয়ামী লীগের দোসর, আপসকামি ও আতাতকারীদের দিয়ে যেভাবে বিভিন্ন থানা কমিটি গঠন করা হয়েছে অন্য দিকে দীর্ঘদিনের পরিচিত পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের উপেক্ষিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্চ কমিটি গঠনসহ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটি গঠন কাউকে না জানিয়ে নির্বাচন ও ভোট ছাড়াই এসব কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পদবঞ্চিত অন্যান্য নেতারা বক্তব্যে- আওয়ামী লীগ পূণর্বাসনসহ নানা কারণে বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিতর্কিত হয়ে পড়ার পাশাপাশি এই কমিটির মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তাই এই কমিটি বাতিল করে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি দেওয়ার আহ্বান জানান।
আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে জানান, জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বৈধ নাকি অবৈধ এবং বাতিল হবে কিনা তা কেন্দ্রীয় কমিটি বিবেচনা করবে। তবে ৩১ সদস্য জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে সবার স্থান হবে না, এটাই স্বাভাবিক। জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলে সেখানে হয়ত সবাই স্থান পাবে। আহ্বায়ক কমিটিতো আমাদের অনুমোদিত না, কেন্দ্রীয় কমিটি দ্বারা অনুমোদিত।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, যারা আজ পদবঞ্চিত বলে আন্দোলন করছে তাদের অনেকেই জেলা, শহরসহ বিভিন্ন আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্যসহ বিভিন্ন পদে রয়েছে। সার্চ কমিটিসহ ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে নিষ্ক্রিয়, আওয়ামী লীগের দোসর, আপসকামী ও আতাতকারীদের নিয়ে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন