হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ৩৯জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এখনও এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম গিয়াস উদ্দিন। তিনি ভাসানচরে ডাক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
উদ্ধার হওয়ায় ব্যক্তি জিয়াউল হক জানান, তারা ঈদের ছুটিতে ভাসানচর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নদীতে ট্রলারের তলা ফেটে পানি ঢুকে পড়লে এ দুর্ঘটনায় পড়ে। এ সময় সকলে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্য একটি মাছের ট্রলারে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেন। ট্রলারের অধিকাংশ যাত্রী ভাসানচরে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত চাকুরিজীবী।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, ফারহানা বিনতে মমিন, ইসমত আরা, মো. তারেক, ফাতেমা খাতুন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান হাতিয়া নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে চারজন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩৪ জনকে জীবিত এবং একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যসহ এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছে। কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ বর্তমানে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন