নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে। আহত চৌকিদারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে উপজেলার ১ নম্বর হরনী ইউনিয়নের দিদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত গ্রাম পুলিশ মো. এরশাদ হোসেন ১ নম্বর হরনী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিদার বাজারে গ্রাম পুলিশের উপর হামলা করা হয়। হামলার নেতৃত্ব দেন শ্রমিকদল নেতা আনোয়ার হোসেন। তারা পিটিয়ে গ্রাম পুলিশ সদস্যের বাম হাত ভেঙে দেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বিতরণকে কেন্দ্র করে চৌকিদারের উপর ক্ষিপ্ত ছিল অনেকে। এর জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকার পরিবর্তনের পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের তৎপরতা কমে গেলে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও তাদের নির্দেশে গ্রাম চৌকিদাররা। এতে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট হন।
আহত গ্রাম চৌকিদার এরশাদ হোসেন বলেন, মসজিদের জায়গায় ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে তারা আমার উপর হামলা করে। এ সময় তারা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। হামলা থেকে আমার ভাই জাফর আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার উপর হামলার ঘটনাটি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
শ্রমিক দল হাতিয়া উত্তর শাখান আহ্বায়ক পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রাম চৌকিদারের সঙ্গে মসজিদের জায়গা নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আমার সঙ্গে কিছু হয়নি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, হরনী ইউনিয়ন নিয়ে আমরা এমনিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকি। এর আগেও ইউনিয়ন সচিবের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজকের বিষয়টির খবর পেয়েছি। আহত চৌকিদার এরশাদ হোসেন চিকিৎসা শেষ করে এলে আমরা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন