চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনের একটি বিশেষ দল মাঠে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সোমবার (০২ জুন) দুপুরে নগরের বিভিন্ন খাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির পরও নগরজুড়ে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয়নি- এটা আমাদের একটি বড় সাফল্য। এর পেছনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এ কার্যক্রম চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। হঠাৎ অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাময়িক জলাবদ্ধতা হতে পারে, তবে খাল-নালায় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে তা দ্রুত নিষ্কাশন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, নগরের ৫৭টি খাল ও প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার ড্রেন পরিষ্কার রাখতে যন্ত্রপাতির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিশাল ব্যবস্থাপনা গতিশীল রাখতে আমাদের যন্ত্রপাতি জরুরি। কিছু নিচু এলাকায় পানি জমলেও দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে স্বয়ংক্রিয় নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
মেয়র বলেন, বীর্জা খাল পরিষ্কারে সিটি করপোরেশনের বিশেষ দল মঙ্গলবার থেকে আবারও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করবে। পূর্ববর্তী প্রশাসন ২০২২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছিল খাল ও ড্রেন পরিষ্কারে যানবাহন ও যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। তবে নানা কারণে প্রকল্পটির অগ্রগতি ধীর ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি প্রকল্পটি দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে কিছু এলাকার নিম্নভূমি ও অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এজন্য খাজা রোড, দামপাড়া, জিসি মোড়সহ আশপাশের এলাকায় কাজ চলছে। সিডিএর র্যাম্প প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় পুরোপুরি রাস্তার উন্নয়নকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে পানি নিষ্কাশনের জন্য সেখানে এরই মধ্যে পাম্প বসানো হয়েছে।
এর আগে মেয়র বীর্জা খাল, মিয়াখাঁন নগর, দামপাড়া, ওয়াসা মোড়, জিসি মোড়, কাপাসগোলা, আগ্রাবাদ, বাকলিয়াসহ নগরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনে মেয়রের সঙ্গে ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ ও একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন