কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হোস্ট টিচারদের চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষকরা। এ সময় তারা উখিয়ার কোটবাজার, উনছি প্রাং ও টেকনাফ হোয়াইক্যাং ৪ ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে চলা বিক্ষোভ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকদের চতুর্থ দিনের অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাতে দাবি সংবলিত প্লেকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষক-জনতার উপস্থিতি বাড়ছে। গত রোববার (০১ জুন) সকাল ৭টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-জনতা। তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন উখিয়ার রাজনৈতিক নেতারাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিরা।
উখিয়া কোটবাজার ও উনছিপ্রাং অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছি। কথা ছিল তারা তাদের দেশে প্রত্যাবাসন হবে। এখন দেখছি, এনজিও কর্মকর্তারা তাদের ফায়দা হাসিলের জন্য রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে দিচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ মোহাম্মদ আলী উল্লাহ বলেন, এনজিওতে আমি জব না করলেও আমার অনেক ভাই, বন্ধু-বান্ধব চাকরি করে, এসব দেখলে খুবই কষ্ট লাগে। আমি এনজিওদের সাহস দেখে রীতিমতো অবাক হচ্ছি, তাদের কী সাহস স্থানীয়দের পিঠের ওপর বসবাস করে খেয়েদেয়ে এরা আবার স্থানীয়দের ছাঁটাই করে, ফান্ড শেষ হলে প্রজেক্ট একেবারেই বন্ধ হতে হবে। কোনো রোহিঙ্গা দিয়ে প্রজেক্ট চালানো যাবে না। কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না এসব এনজিওদের। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে।
এদিকে ৪ ঘণ্টা ধরে টেকনাফ-উখিয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ কিন্তু প্রশাসনের কেউ উপস্থিতি সেখানে দেখা যায়নি।
মন্তব্য করুন