লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জামায়াত নেতা হত্যায় জড়িতদের বহিষ্কারে প্রতিশ্রুতি রাখেনি বিএনপি’

লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ছবি : সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ছবি : সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, জামায়াত নেতা কাউছার আহম্মদ মিলন হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক নয়। সামাজিক একটি ঘটনায় জামায়াত নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের উভয়ের (বিএনপি-জামায়াত) কথা হয়েছিল হত্যাকারী যেই হোক তাকে বহিষ্কার করা হবে, কিন্তু বিএনপি সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি।

তিনি বলেন, জঘন্যতম কথা বলা হচ্ছে যে, জামায়াত একটি স্বাভাবিক মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে। কাউছার আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তার ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত ছিল। সেটি কীভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়?

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে জেলা জামায়াতের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জানা গেছে, সোমবার (০৯ জুন) শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশির ভিলা হলরুমে বিএনপির প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জামায়াত এ আয়োজন করেন।

জামায়াত নেতা রেজাউল করিম বলেন, বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে কাউছার এর আগে স্ট্রোক করেছেন, অতএব এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। এসব কথায় জাতি বিভ্রান্ত। ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে তাকে আঘাত করা হয়েছে। আবার তিনি চিকিৎসা নিতে গেলে হাসপাতালে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এখন তার পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

হত্যা নিয়ে রাজনীতিকরণ নিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিকরণ কারা শুরু করেছে- সন্ত্রাসীরা তাকে আহত করেছে এবং তিনি মারা গেছেন। কিন্তু মামলার আসামিরা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। হামলার ঘটনার পর তারা বিরাট একটি মিছিল করেছে, স্যোশাল মিডিয়ায় তা আসছে। তাহলে রাজনীতিকরণের সূচনাটি কারা করল? হত্যাকাণ্ডের পর ময়নাতদন্ত হয়, রিপোর্ট আসবে। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই কেউ কেউ বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। এজন্য আমরা শঙ্কিত কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার নিয়ে। প্রকৃত হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট আসবে বলে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহ-সেক্রেটারি মহসিন কবির মুরাদ, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম সুমন খান প্রমুখ।

থানা সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের ওলামা বিভাগের নেতা কাউছারের মৃত্যুর ঘটনায় ৩২ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় তার স্ত্রী শিল্পী আক্তার গত রোববার (০৮ জুন) মামলা করেছেন। এতে এজাহারভুক্তরা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কাউছার বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে হামলার শিকার হয়ে সন্ধ্যায় মারা যান। তিনি বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় স্থগিত অনুব জৈনের কনসার্ট

সোমবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা শিক্ষকদের

অভিবাসননীতি কঠোর করল আয়ারল্যান্ড

জোট করলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট 

শেখ হাসিনা প্রতারণা করেছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের পুরস্কৃত করেছেন : বিচারক

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে ‘সিন্ডিকেট’, বদলির খেলা চলছে নীরবে

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২৮ ডিসেম্বর

শীতের সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের অলিগলিতে পিঠা বিক্রির ধুম

বিপিএলে দল পেয়েই বড় চমক দেখাল নোয়াখালী

বিশ্ববাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

১০

প্লট দুর্নীতি / সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ১৮ বছরের কারাদণ্ড

১১

দেশের চার সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত

১২

নগদে ফিরে এলে বা নতুন অ্যাকাউন্ট খুললেই ক্যাশব্যাকসহ সারপ্রাইজ গিফট

১৩

শেখ হাসিনার সম্পদের প্রতি লোভ আছে : বিচারক

১৪

র‍্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ পরিবারকে তলব

১৫

সৎছেলে নাগাকে নিয়ে যা বললেন অমলা

১৬

দুই দিনে শেষ অ্যাশেজ: পিচকে ‘খুব ভালো’ রেটিং আইসিসির

১৭

যে ৬ সহজ কৌশল রক্ত পরীক্ষায় সুচের ভয় কমাতে সাহায্য করবে

১৮

ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব, যা জানাল কারা কর্তৃপক্ষ

১৯

আবারও মালাইকার প্রেমের গুঞ্জন

২০
X