সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে যুবদলের এক নেতা খুন হয়েছেন।
রোববার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের জামলাবাজ গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত নজরুল ইসলাম (৩৫) ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই তাজ উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক শত্রুতা চলছিল। ঘটনার দিন সকালে বাড়ির সীমানায় বস্তা ফেলা নিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এ নিয়ে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাজ উদ্দিনের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নজরুল ইসলামের বসতঘরে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এছাড়াও হামলায় নজরুল ইসলামের বড় ভাই জালাল হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল ভর্তি করেছেন স্বজনরা।
সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রশিদ আমিন বলেন, বিষয়টি তাদের পারিবাকি ঘটনা। যেহেতু সে যুবদলের একজন কর্মী। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আনছার উদ্দিন বলেন, নজরুল যুবদলের নিবেদিত কর্মী। সে ত্যাগী ও নির্যাতিত। আমাদের সব আন্দোলন সংগ্রামে সে সামনের কাতারে ছিল। শনিবারও শিমুলবাক ইউনিয়নের একটি সভায় সে উপস্থিত ছিল। আজ সে আমাদের মাঝে নেই। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তাদের পারিবারিক বিষয়টি আমিও একবার সমাধান করে দিয়েছি। কিন্তু এর জন্য একজনকে জীবন দিতে হবে এ মানতে পারছি না। আমি দাবি জানাচ্ছি যে বা যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী জানান, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নজরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়াও হামলায় গুরুতর আহত হন নিহতের বড় ভাই জালাল হোসেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন