হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় জাকির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ।
এর আগে রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের পয়েন্টে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত জাকির হোসেন পিরোজপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন ডাক্তারের ছেলে।
এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তজিমুল মিয়াকে (৫৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রুবেল মিয়া (২৭) ও উজ্জল মিয়াকে (৩০) হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জমি নিয়ে পিরোজপুর গ্রামের গনি মিয়া গংদের সাথে শাজাহান মিয়া গংদের বিরোধ চলে আসছিল।
রোববার সন্ধ্যায় পিরোজপুর গ্রামের পয়েন্টে জমি নিয়ে গনি মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়ার সঙ্গে শাজাহান মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়ার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে জাকিরের উপর প্রতিপক্ষের লোকজন চড়াও হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্বজনরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক জাকিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না মিয়া জানান, জমি নিয়ে শাজাহান মিয়া ও নানু মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রোববার সন্ধ্যায় পিরোজপুর পয়েন্টে শাজাহান মিয়ার ছেলে মহসিনের সাথে নানু মিয়ার পুত্র হোসাইন মিয়ার ঝামেলা বাধে। এ সময় স্থানীয় হারুনুর রশিদ তাদের এখান থেকে সরে অন্যত্র যেতে বললে শাজাহান মিয়ার লোকজন হারুন ও তার ছেলে জাকিরকে মারধর করে৷ এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জাকির হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বাক-বিতণ্ডার জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ আমরা বাদী পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনারা লাশ দাফনের পর অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন