যশোরের চৌগাছায় নির্যাতিত সাত বছরের এক শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (১৬ জুন) সোমবার সকালে তারেক রহমানের নির্দেশে হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও নারী-শিশু নির্যাতন সহায়তা সেলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রফিকুল ইসলাম।
এরপর ডা. রফিকুল ইসলাম যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটির সার্বিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজ করছেন।’
গত ১১ জুন বিকেলে প্রতিবেশী মিজানুর রহমান শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা চালায়। মারাত্মক রক্তক্ষরণ অবস্থায় শিশুটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঈদের ছুটির মধ্যেও অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এক লাখের বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ঝুলে আছে। বিএনপির লিগ্যাল এইড ও চিকিৎসা সেল এসব বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, শিশুটিকে প্রথম হাসপাতালে নেওয়ার কাজটিও করেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। বর্তমানে আইনগত সহায়তাও দিচ্ছে দলীয় লিগ্যাল সেল।
শিশুটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আমার মেয়ের পাশে সবসময় ছিলেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানাই।’
মন্তব্য করুন