থাকার কষ্ট, খাবারের কষ্ট, একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে, ঘুমাতে পারি না। করমু কী, করার কোনো উপায় আছে? মানুষে দিলে খাই, না দিলে না খেয়ে থাকি। বন্যা হলে অনেক ভয় করে তারপরও ভাঙা ঘরে বসে থাকি, পরের ঘরে গেলে তারা কি আমার জন্য বারবার দুয়ার (দরজা) খুলবে। তাই নিজের ঘরেই বসে থাকি। আর অসুখ-বিসুখ হলে আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকি এমনটাই বলছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী আমেনা খাতুন।
৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বিধবা হয়েছেন ৩০ বছর আগে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে তারাও প্রতিবন্ধী। ছেলেদের স্ত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করে তাদের সংসার চালান। আর মেয়ে থাকেন তার শ্বশুর বাড়িতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আমেনা খাতুনের স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র সম্বল এই ঘরে একা বাস করেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ পড়ে সেটিও ভেঙে যায়। একটু বৃষ্টি হলে পানিতে ডুবে যায়। নিরুপায় হয়ে এই ভাঙা ঘরে আশেপাশের মানুষ যে খাবার দেয় তা দিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি।
প্রতিবেশীরা জানান, আমেনা খাতুনের ছেলে মেয়েরা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তারা তার খোঁজখবর নিতে পারছেন না। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায়, খেয়ে না খেয়ে দিন যায় তার। সরকারি কিংবা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমেনা খাতুনের পাশে দাঁড়ালে তিনি শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারবেন।
মির্জাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন শরীফ বলেন, আমেনা বেগম খুবই অসহায়। বৃদ্ধ মহিলা বাড়িতে একাই থাকেন। ঝুপড়িতে বৃষ্টি-বাদল আর শীতের দিনে খুব কষ্ট হয় তার। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই একটা ঘর হলে তিনি ভালোভাবে থাকতে পারবেন।
মন্তব্য করুন