

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বাইরন। এর ফলে উপত্যকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে বাসিন্দাদের অধিকাংশই তাঁবু, অস্থায়ী ঘর বা আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে থাকায় ঝড়টি আরও ভয়াবহ দুর্দশা ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, উপকূলীয় খান ইউনুসের কাছে মাওয়াসি এলাকায় বিশেষভাবে আকস্মিক বন্যা ও তাঁবু উড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সংস্থাটি বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুর চারপাশে ড্রেনেজ খালের মতো খোঁড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাস্সাল আল-আরাবি টিভিকে জানান, ভোর থেকে তারা প্রায় ১,০০০ আবহাওয়াজনিত ফোনকল পেয়েছে এবং হাজারো তাঁবু ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। তিনি গাজায় মোবাইল হাউজিং প্রবেশের আহ্বান জানান, যা তাঁবুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
গাজা সিটির মেয়র ইয়াহিয়া আল-সররাজ আল-জাজিরাকে বলেন, পানির উচ্চতা বাড়ায় সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে।
হামাস-সংযুক্ত কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক একটি প্লাবিত শরণার্থী ক্যাম্পের ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে মানুষ-শিশুসহ তাঁবুর চারপাশে পানি অপসারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এক বাসিন্দা বলেন, এভাবে চললে তিন দিনের মধ্যেই আমরা মারা যাব।
এদিকে নতুন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটিতে তীব্র বৃষ্টি ও প্রবল বাতাস নিয়ে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় বাইরন। এর ফলে দেশজুড়ে বন্যা ও বিপজ্জনক আবহাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাসের পর সন্ধ্যায় দেশজুড়ে প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সেনাদের জন্য নতুন নিরাপত্তা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়া আরও খারাপ হতে শুরু করেছে। এর ফলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির পুরো সামরিক বাহিনীর জন্য নতুন নিরাপত্তা নির্দেশনা জারি করেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, বুধবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সৈন্যরা তাদের ঘাঁটি ছেড়ে সপ্তাহান্তের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে পারবে না।
মন্তব্য করুন