লাকসাম নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম জুয়েলকে প্রধান সমন্বয়কারী করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কুমিল্লা জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে।
এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এই কমিটি অনুমোদন করেন।
সেদিন রাতে এনসিপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কুমিল্লা জেলা সমন্বয় কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত। এর পরই এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
পরে আব্দুর রহিম জুয়েল ফেসবুক পোস্ট দিয়ে এনসিপির নেতৃত্বে আসার বিষয়টি ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, তিনি ৩৫ বছর ধরে বিএনপি করছেন, এনসিপির নেতৃত্বে আসার প্রশ্নই আসে না।
জুয়েল তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে ছাত্রদল, পরে যুবদল, বর্তমানে বিএনপি কর্মী। আমি শহীদ জিয়ার সৈনিক, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, যুবদলের উপজেলা সহসভাপতি, জেলা কৃষক দলের সাংঠনিক সম্পাদক ছিলাম। বিএনপির কর্মী হিসেবে ছিলাম, আছি, থাকব। এনসিপির নেতৃত্বে আমার নামে কমিটির বিষয়টি গুজব। দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। একটি সুযোগসন্ধানী মহলের অপপ্রচার। ওইসব (এনসিপি) দলের সঙ্গে জড়িত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। অপপ্রচার চালাচ্ছে যারা, আল্লাহ ওদের হেদায়েত দান করুন।’
যোগাযোযোগ করা হলে কালবেলাকে আব্দুর রহিম জুয়েল বলেন, ‘কমিটি নিয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই এমনটা করা হয়েছে, আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। সামনে যেন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে না পারি, এজন্যই আমাকে এমন বিতর্কে জড়ানো হচ্ছে।’
অবশ্য এনসিপির কুমিল্লা অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, আবদুর রহিম জুয়েলের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ-আলোচনা করেই তাকে কুমিল্লা জেলা কমিটির শীর্ষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন