ফরিদপুরে পদ্মায় গোসলে নেমে দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলা ধলার মোড়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তারা হলেন, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১ম বর্ষের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের ছাত্র রিজায়ে রাব্বি তামীম (২০) ও আব্দুল্লাহ মারুফ (২০)। এদের মধ্যে তামীম গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মধ্য আশুলিয়ার বাসিন্দা শওকত হোসেনের ছেলে। আর মারুফ নোয়াখালীর উত্তর শরীফপুর গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. নেছার আলি কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেলা প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পাই। এরপর সেখানে গিয়ে আমাদের ২ জন ডুবুরি ১০-১৫ মিনিট চেষ্টার পর ছাত্রদের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, ৬ জন ছাত্র একসঙ্গে দুপুরে গোসল করতে পদ্মার ধলার মোড় পয়েন্টে যায়। তাদের মধ্যে থেকে তামিম ও মারুফ নদীতে নামার পর ডুবে যায়। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা ছাত্ররা আমাদের খবর দেন। লাশ পাওয়ার পর ছাত্ররা সিএন্ডবি ঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ট্রিপল-ই (ইইই) বিভাগের শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন, ওরা ছয়-সাতজন বন্ধু মিলে দুপুরে গোসল করতে নেমেছিল। এসময় মারুফ ও আরেকজন ভেসে যায়। তাদের বাঁচাতে তামীম এগিয়ে গেলে মারুফ ও সে স্রোতের তোড়ে ডুবে যায়।
তিনি জানান, নিহতদের শরীরের মধ্যে পানি জমে থাকায় দ্রুত পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য রাতে তাদের মৃতদেহ ফরিদপুর ডায়বেটিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাস্টার রোলের কর্মচারী দুলাল হোসেন বলেন, আজ তাদের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তারা জিদ করে যে, পরীক্ষা দেবে না। পরে সবাই মিলে কলেজের মাঠে খেলাধুলা করে দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, মৃত দুই ছাত্রের লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আসার পর তাদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন