জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা দেখেন কলেজ বন্ধ

প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও তালা দেওয়া গেটে অপেক্ষমাণ পরীক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও তালা দেওয়া গেটে অপেক্ষমাণ পরীক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

জামালপুর শহরের বেসরকারি প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে দেখে কলেজ বন্ধ। এর আগেই প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম। এতে প্রবেশপত্র না পেয়ে চলামান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৭ শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে ওই বিদ্যালয়ে অবস্থান নেয় ১৭ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

জানা গেছে, জামালপুর শহরে কয়েক বছর থেকে পাঠদান পরিচালনা করছে প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির শুধু পাঠদানের অনুমতি থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি ছিল না।

বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম। এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেওয়া হলেও তাদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড কিছুই হাতে পায়নি তারা। পরীক্ষার্থীদের দাবি এসবের দায়ভার পুরোটাই অধ্যক্ষের।

ইসরাত জাহান নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, কয়েকদিন থেকেই বিভিন্ন কলেজে অ্যাডমিট কার্ড দিচ্ছে শুনে সেলিম স্যারের কাছে যাই। তখন স্যার কয়েকদিন পরে আসতে বলে। পরে গেলেও স্যার বলে যে তোমরা পরীক্ষা দিতে পারলেই হলো। গতরাতেও স্যারের সঙ্গে কথা হয় আমাদের। আজ সকাল ৬টার মধ্যে অ্যাডমিট ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়ার কথা। সকালে এসে দেখি কলেজে তালা দেওয়া। স্যারও নাই, স্যারের মোবাইলও বন্ধ।

যেভাবেই হোক তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ইসরাত।

আছাদুজ্জামান নামে আরেক পরীক্ষার্থী জানান, রেজাউল স্যার যখন যেভাবে টাকা চেয়েছেন সেভাবেই দিয়েছি। গত দুইটা বছর পড়াশোনা করে আজ পরীক্ষা দিতে পারলাম না। কয়েকদিন থেকে স্যারের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলছি কোনো লাভই হলো না। একটা পরীক্ষা চলে গেল তাও আমরা বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে চাই।

অভিভাবক জাহানারা খাতুন বলেন, কয়েক দিন থেকে রেজাউল স্যাররে সঙ্গে কথা বলতেছি, তিনি শুধু সময় নেন। গতকাল তাকে আমরা আটকিয়েছিলাম, আজ সকালে সব কাগজ দেওয়ার কথা। আমার ছেলের দুইটা বছরের পড়াশোনা মাটি হয়ে গেল।

প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম স্যারের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি বিদ্যালয়ে নতুন জয়েন করেছি, কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও তা রিসিভ হয়নি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি, অ্যাডমিট কার্ড বোর্ড থেকে প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়, সেগুলো প্রতিষ্ঠান বিতরণ করে। এ বিষয়ে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। এটি ওই প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডের বিষয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ

রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান মিলে কোনো জোট হচ্ছে না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অযোগ্য নেতৃত্বে দায়িত্বশীলতা আশা করা বোকামি : জবি ছাত্রশিবির সভাপতির প্রতিবাদ

ইরানে ব্যবহৃত বাঙ্কার বোমা পরীক্ষার ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান

শেখ হাসিনা পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রেস সচিব

৮ আগস্ট বিপ্লব বেহাত হওয়ার দিবস : জুলাই ঐক্য

ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যার চেষ্টা শ্রমিকদল নেতার

মিথ্যা মামলা-গ্রেপ্তার কমাতে সরকারের উদ্যোগ

১০

বিএসপির মহাসচিব আব্দুল আজিজের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

১১

ইসরায়েলি গুপ্তচর ছাড়াও যারা ইরানকে ঘায়েল করছে

১২

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

১৩

যে মন্দকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই ভালো মানুষ হয় : আবদুস সালাম 

১৪

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পানি, মাস্ক ও কলম দিলেন বিএনপি নেতা

১৫

প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা দেখেন কলেজ বন্ধ

১৬

বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ আয়োজনে নেপালে হতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ক্যাম্প

১৭

‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না’

১৮

‘কঠিন দিন’ পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ

১৯

গত তিন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত

২০
X