কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষণ মামলার গ্রেপ্তার প্রধান আসামি ফজর আলী। ভোর ৫টার দিকে তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। তারা সবাই মুরাদনগর উপজেলার বাহারচর গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার (২৮ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের হাতে আটকের পর মারধরের শিকার হন তিনি। পরে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে গেলে উপস্থিত কিছু লোক ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়। ভিকটিমের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন