দৈনিক মানবকণ্ঠ ও এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার ক্রয়কৃত ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি দখলের জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচল ৩ নম্বর সেক্টরের ছমু মার্কেট এলাকায় অবস্থিত সাংবাদিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অভিযুক্ত হরিকান্ত মোহন গং ও সূর্যকান্ত মোহন রূপগঞ্জের দক্ষিণবাগ এলাকার শশী মোহনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। এলাকার বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করায় একটি প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী মহল আমার পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। রূপগঞ্জের দক্ষিণবাগ এলাকায় আমার মালিকানাধীন জমি নিয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রূপগঞ্জের দক্ষিণবাগ এলাকার গুতিয়াবো মৌজার আরএস ২২৪০ নম্বর দাগের ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ জমিটি আশানন্দের কাছ থেকে রোহিনী কুমার ১৯৫৪ সালে ক্রয় করেন। পরে ২০২৫ সালে রোহিনী কুমারের নাতি শঙ্কর গংদের কাছ থেকে আমি জমিটি ক্রয় করেছি। অথচ একই জমি আশানন্দের কাছ থেকে ১৯৬২ সালে ক্রয় করেন যুগল কিশোর। পরে যুগল কিশোরের কাছ থেকে ১৯৬৯ সালে ক্রয় করেন হরিভক্ত। হরিভক্তের ওয়ারিশ সূত্রে তার নাতি হরিকান্ত ও সূর্যকান্ত জমির মালিকানা দাবি করে আমার বিরুদ্ধে গত ১২ মে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রতারণার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অথচ এই জমির পূর্ব মালিক আশানন্দ প্রথমে রোহিনী কুমারের কাছে বিক্রি করেন। সে হিসেবে আমি জমির বৈধ মালিক। এ কারণে আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। তবুও তারা নানা ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি নূর মোহাম্মদ, হবিল্লাহ মিয়া, আব্দুস সালাম মিয়া, আব্দুল ওহাবসহ প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হরিকান্ত মোহনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন