খুলনার পাইকগাছা হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনায় দুই রোগীর স্বজনদের মারামারি দেখে খুকুমনি বেগম নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলমতলা গ্রামের মৃত হোসেন আলী মালির ছেলে মকছেদ মালি বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে স্ট্রোকজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে নিদিষ্ট কেবিনে সিট না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আরাজি ভবানীপুর গ্রামের আলী সানার স্ত্রী খুকুমনি বেগম (৭৫) পেটে ব্যথা ও হাই ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনিও বেড না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
মৃত খুকুমনির ছেলে হাফিজুল ইসলাম সানা অভিযোগ করে জানান, আমার অসুস্থ মা প্রসাব পরীক্ষা করানোর জন্য বাথরুমে যায়। সেখানে থেকে ফেরার সময় ওনার পায়ে লেগে মকছেদ মালির ফ্যানের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় অপর রোগীর স্বজনরা আমাদের গালাগাল করে। বিষয়টি আমি প্রতিবাদ করলে তারা কয়েকজন মিলে আমাকে ও আমার বোনকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে মারপিট দেখে আমার মা মারা যায়।
পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার মন্ডল জানান, মৃত খুকুমনি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুই রোগীর স্বজনের মারামারি দেখে হার্ট এ্যাটাকে খুকুমনি মারা গেছেন বলে মনে হয়েছে।
হাসপাতালের মারামারির ঘটনা শুনে পাইকগাছা-কয়রার ডি সার্কেল আরিফুল ইসলামসহ থানা পুলিশ নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে মারামারির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন