রাকিবুল ইসলাম রাকিব, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গৌরীপুরে কচুরমুখীর ভালো ফলন, দামে খুশি কৃষক

কচুরমুখী বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন গৌরীপুরের কৃষক শেখ সাদি ও তার পরিবার। ছবি : কালবেলা
কচুরমুখী বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন গৌরীপুরের কৃষক শেখ সাদি ও তার পরিবার। ছবি : কালবেলা

জমি থেকে উত্তোলনের পর মাটির আবরণ লেগে থাকায় অপরিচ্ছন্ন থাকে কচুরমুখী। কচুর মূল থেকে আলাদা করে পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করলে সাদা ধবধবে হয়ে যায়। স্বল্প শ্রম ও অল্প খরচে ভালো ফলনের পাশাপাশি কয়েক গুণ বেশি দাম পাওয়ায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পুষ্টিগুণসম্পন্ন এই সবজি ‘সাদা সোনা’ নামে পরিচিত পাচ্ছে কৃষকদের কাছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৩০ হেক্টর জমিতে বারি-১ জাতের কচুরমুখী আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় কচুরমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে জমিতে কচুরমুখীর চারা রোপণ করা হয়। ছয় মাস পর থেকেই জমি থেকে মুখী উত্তোলন করা হয়।

কৃষকরা জানান, আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে জমি থেকে কচুরমুখী উত্তোলন করে বিক্রি শুরু হয়েছে। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ কচুরমুখী ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছে কৃষক।

মাওহা ইউনিয়নের কৃষক শেখ সাদী বলেন, ৬০ শতক জমিতে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে মুখি পেয়েছি ১৮০ মণ। প্রতি মণ ২ হাজার টাকা দামে ১৮০ মণ মুখি বিক্রি করেছি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। স্বল্প খরচ ও অল্প শ্রমে ভালো ফলনের পাশাপাশি কয়েকগুণ বেশি দাম পাওয়া মুখি আমাদের এলাকায় ‘সাদা সোনা’ পরিচিতি পেয়েছে। কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, আগে এই অঞ্চলের কৃষকরা জমিতে দুই মৌসুম ধান চাষ করে জমি পতিত রাখতো। কিন্ত গ্রামের কৃষক শেখ সাদী পতিত জমিতে মুখি আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়ায় এখন গ্রামের অন্য কৃষক ও যুবকরাও মুখি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। অল্প খরচে ভালো ফলন পাওয়ায় এই সবজি চাষ করে অনেকেই ভাগ্য বদল করেছে।

কড়মড়িয়া গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, দশ শতক জমিতে মুখির আবাদ করেছি। জমি প্রস্তত, চারা, সার, সেচ ও নিড়ানী বাবদ খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকার মতো। মুখির ফলন হয়েছে চোখে পড়ার মতো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৩০ মণের মতো মুখি উত্তোলন করতে পারবো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাকিবুল হাসান বলেন, গৌরীপুরের কৃষকরা বারি ১ জাতের কচুর মুখি আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। আমাদের দেশে ‘চিংড়িকে সাদাসোনা, হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্ত গৌরীপুরে কৃষকরা কচুর মুখি চাষ করে খরচের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি লাভ হওয়ায় কচুর মুখিকে ‘সাদাসোনা’ হিসাবে আখ্যায়িত করছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই সবজি চাষে দিনদিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল নামিবিয়া

জিয়া পরিবারের ত্যাগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য : কফিল উদ্দিন

বিএনপিকে ঘায়েল করতে চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

‘গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে হতে হবে’

মার্কস অলরাউন্ডার প্রতিযোগিতায় ব্যাপক সাড়া

নেইমারকে দলে টানতে মরিয়া ইন্টার মায়ামি

ডিজিএফআই বিলুপ্তের পরিকল্পনা নেই সরকারের : প্রেস সচিব

বিএনপির মনোনয়ন বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : সালাউদ্দিন আহমদ

ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

সরকারি তহবিল স্থগিত, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো সরকারি কর্মী চাকরিচ্যুত

১০

আরও কোনো সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা হবে কি না, জানালেন প্রেস সচিব

১১

‘ন্যায়ের সেবায় শৃঙ্খলিত হোন’ নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারকদের বার্তা

১২

গাজায় গেলেন শক্তিধর মার্কিন কমান্ডার, ঘাঁটি নিয়ে আলোচনা

১৩

‘হেক্সাগার্ড রোভার’ উদ্ভাবক জিহাদের পাশে তারেক রহমান

১৪

বরিশালে খাল উদ্ধারের নামে হয়রানির অভিযোগ ৪০ পরিবারের

১৫

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল ভারতীয় পণ্য জব্দ

১৬

যে কারণে পেছাল ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

১৭

সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের সামনে সহজ লক্ষ্য

১৮

ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তছলিম, সম্পাদক ফেরদৌস

১৯

সামাজিক অনুষ্ঠানে সাইক্লোন শেল্টার ব্যবহার করা যাবে : উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম

২০
X