বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ০২:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন 

সিলেট দায়রা জজ আদালতের ফটক। ইনসেটে স্কুলছাত্র সুমেল। ছবি : সংগৃহীত
সিলেট দায়রা জজ আদালতের ফটক। ইনসেটে স্কুলছাত্র সুমেল। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলায় ৩৪ জন আসামির মধ্যে আদালত ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাকি ১৭ জনের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল আলম, সিরাজ উদ্দিন, জামাল মিয়া, আব্দুল জলিল, আনোয়ার হোসেন ও মামুনুর রশীদ। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুনুর রশীদ পলাতক। প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে জেলহাজতে রয়েছে। গত ১৩ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ইলিয়াস হোসেন, আব্দুন নুর, জয়নাল হোসেন, আশিক হোসেন, আছকির আলী, আকবর হোসেন ও ফরিদ আহমদ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১লা মে সাইফুল ও তার বাহিনী চাউলধনী হাওরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চৈতনগর গ্রামের ইব্রাহিম আলী সিজিল গংদের নিজস্ব রেকর্ডীয় ভূমিতে জোরপূর্বক এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। এতে জমির মালিক পক্ষ বাধা দিতে চাইলে সশস্ত্র আসামিরা বন্দুক, পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানা পুলিশ ও গ্রামে একাধিক বৈঠক করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বন্দুকের গুলিতে শাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর গুলির আঘাতে তার শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। সুমেলের বাবা-চাচাসহ ৩ গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার রায়ের পর বাদী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের পর সিলেটের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন ও সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এই চাঞ্চল্যকর হত্যার মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা ও আলামত নষ্ট করার দায়ে ওসি শামিম মুসা, এসআই নুর ও ফজলুল হককে ক্লোজ করা হয়।

এরপর তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাইবিরোধী অবস্থান / ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তা বরখাস্ত, ৩৩ শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল

স্মরণীয় মুসলিম মনীষী / মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ.)

হাদিসের বাণী ও শিক্ষা / রাগ থেকে বাঁচার উপায়

কোরআনের বাণী ও শিক্ষা / ধৈর্য ও তাকওয়ার গুরুত্ব

সমুদ্রযাত্রায় আরব নাবিকদের অবদান

প্রাত্যহিক কাজ যেভাবে ইবাদতে পরিণত হয়

নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াতে বিশেষ মর্যাদা

ইরান-রাশিয়ার নতুন কৌশল, কাজে আসবে না মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আস-সুন্নাহ হলে জকসু নির্বাচনের কোনো প্রভাব পড়বে না : জবি প্রক্টর

পদত্যাগের পোস্ট দিয়ে আবার মুছে ফেললেন জবি ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক 

১০

চোর সন্দেহে সরকারি কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 

১১

৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল, কারাগারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতাকর্মী

১২

ফেরার দুয়ারে পল পগবা

১৩

বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১৪

বগুড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর আশাবাদ তামিমের

১৫

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা গ্রেপ্তার

১৬

গরম গরম গোলমরিচের ফুলকপি বানানোর সহজ রেসিপি

১৭

ঝিনাই নদীতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ 

১৮

তামিমের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও বাংলাদেশের মাঝারি সংগ্রহ

১৯

নিজ বাড়ির ছাদে মিলল আ.লীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ

২০
X