বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এবং মান্দা উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি এমএ মতীন বলেছেন, আজকে এই বিজয়ের লগ্নে যারা রাজপথে থেকে শহীদ হয়েছেন বিএনপি তাদের কখনও ভুলবে না, ভুলতে পারে না।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁর মান্দায় জুলাই আগস্টের ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিষয় র্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি বিগত ১৭ বছর থেকে দেশের গণতান্ত্রিকামী মানুষের জন্য একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে মুক্ত করতে সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত-জনতার আন্দোলনের আজকের এ বিজয়।
এ সময় তরুণ এই নেতা মান্দা উপজেলা থেকে আন্দোলনে গিয়ে শহীদ হওয়া রাসেল রানাকে স্মরণ করে বলেন, এই রাসেল রানা চিন্তা করেনি আমার কী হবে? তিনি শুধু চিন্তা করেছেন ফ্যাসিবাদ হাসিনার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আরেক সন্তান গুলিবিদ্ধ নাহিদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মতীন বলেন, তারেক রহমানের উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ গঠন করা। কিন্তু এখন একটা ষড়যন্ত্রগোষ্ঠী দল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কখনো কখনো আমরা নির্বাচন চাই না, নির্বাচন মানি না বলছে। আবার কখনো কখনো পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। আবার লোক ভাড়া করে ঢাকার ময়দানে জনপ্রিয়তার কথা বলছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই- আপনাদের নির্বাচনে আসতে কেন ভয়? এই ভয় করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি গণতন্ত্রকে কখনো ভয় পায় না। বিএনপি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে যাচাই করতে চায় কার জনপ্রিয়তা বেশি?
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মতীন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিটা নেতাকর্মী আগে যেমন রাজপথে ছিল, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে। বিএনপির নেতাকর্মী শিষ্টাচার, ভদ্রতা দেখিয়ে রাজনীতি করতে চায়। আমরা কোনো উসকানিতে পা দেব নন। আর যদি কেউ বাঁকা পথে আসতে চান তাহলে সেই জবাব বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথেই দেবে।
মান্দা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল ইসলাম বাদলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, মান্দা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মকলেছুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজমুল হক নাজু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ইকরামুল বারী টিপু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কুমার বিশ্বজিৎসহ যুবদলের আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সালেকসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে উপজেলা বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে কয়াপাড়া কামারকুড়ি হাইস্কুল মাঠ থেকে কেন্দ্রীয় তরুণ নেতা এম এ মতীনের নেতৃত্বে প্রায় ৭-৮ হাজার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দুই কিলোমিটার সড়কে বিজয় র্যালি পালন করা হয়। র্যালি শেষে উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে চৌরাস্তার মোড়ে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
মন্তব্য করুন