খুলনার কয়রা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের দেড় হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। মুন্ডাদের নিজস্ব ভাষা ‘মুন্ডারি’। কিন্তু এর কোনো লিখিত রূপ নেই, কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে বর্ণমালা।
কয়রা উপজেলার সুন্দরবন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়ন সংস্থার (সাউস) উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মুন্ডা ও মাহতোদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় কয়রা সদরে শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুন্ডা জনগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে তাদের আলাদা স্কুল ও বই তৈরির পদক্ষেপ জরুরি। যাতে তাদের ভবিষৎ প্রজন্ম ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।
সুন্দরবন আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থা (সাউস) সভাপতি বলয় কৃষ্ণ মুন্ডা বলেন, কালের পরিক্রমায় দিন দিন মুন্ডা ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। মুন্ডা সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা স্কুল তৈরি করলে আমাদের নিজস্ব ভাষা সংরক্ষণ করা যাবে।
মুন্ডা কমিউনিটির রাজা গ্রীরেন্দ্রনাথ মুন্ডার সভাপতিত্বে ও সাউসের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষ মুন্ডার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শুভ বিশ্বাস, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এমএ হাসান, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দিন, সাউসের সভাপতি বলয় কৃঞ্চ মুন্ডা, সাংগঠনিক সম্পাদক অবনিশ মুন্ডা, রবেন মুন্ডা, কবিতা রানী মুন্ডা ও সৌমেন মুন্ডা।
মন্তব্য করুন