পাথর লুটের ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিদায় নিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ। শেষ কর্মদিবসে বুধবার (২০ আগস্ট) সাদাপাথর লুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তিনি।
রিপোর্টে ১৩৭ জন জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি পাথর লুটপাট বন্ধে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
এ সময় শের মাহমুদ মুরাদ জানান, সাদাপাথর লুটের সঙ্গে জড়িত ১৩৭ জনের নাম প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আর আগামীতে পাথর লুট বন্ধে ১০টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
৭ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে যে ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় গত ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজালুল ইসলাম ও কোম্পানীগঞ্জের সদ্য বদলিকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার। তাকে কমিটিতে রাখায় সমালোচনার ঝড়ও ওঠে।
গত ১০ ও ১১ আগস্ট সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকা থেকে পাথর লুটের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার অভিযান শুরু করে তারা। আলোচিত এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিতে রাখা হয় কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার ও সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজালুল ইসলাম লিংকনকে।
ওই কমিটির গত ১৭ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। পরে আরও তিন দিনের সময় বর্ধিত করা হয়। তদন্ত শেষে বুধবার রিপোর্ট দেন কমিটির সদস্যরা।
মন্তব্য করুন