চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও জশনে জুলুসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে সবপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবে প্রশাসন। এর আগে শনিবার (৬ আগস্ট) ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
জানা গেছে, এক যুবক মাদ্রাসার সামনে তোলা একটি অশালীন অঙ্গভঙ্গির ছবি পোস্ট করেন। এ পোস্টকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাত ৮টার দিকে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, যা মধ্যরাত পর্যন্ত থেমে থেমে চলেছে। এ সময় একাধিক যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগেই পোস্ট করা ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে হাটহাজারীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল চলমান আছে। ১৪৪ ধারা বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং শান্তি বজায় রাখতে বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সবপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে সবার দাবি-দাওয়া শোনা হবে। এরপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম কালবেলাকে বলেন, হাটহাজারীর ঘটনায় ১১০ জন হাটহাজারীতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে একজন ভর্তি আছেন।
মন্তব্য করুন