

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক বাহিনী খুব শিগগিরই মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, এটা খুব শিগগিরই ঘটতে যাচ্ছে। গাজা এখন খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে।
শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, গাজায় শান্তি ভালোভাবেই কাজ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক দেশ ও মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে তিনি বর্তমানে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতির প্রশংসা করেছেন।
তিনি জানান, কাজাখস্তান ইসরায়েল এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিতে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্যান্য মধ্য এশীয় দেশও এই প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়ে শান্তি উদ্যোগে নতুন গতি আনবে।
সোমবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ শারার আসন্ন ওয়াশিংটন সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, আমি মনে করি তিনি খুব ভালো কাজ করছেন। অঞ্চলটি কঠিন, আর তিনিও কঠিন মানুষ, কিন্তু আমাদের সম্পর্ক ভালো এবং সিরিয়া বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, এটা জটিল বিষয়, তবে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা তুরস্ক, ইসরায়েল এবং আরও কয়েকটি দেশের অনুরোধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি—তাদের একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ আন্তর্জাতিক বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য হবে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত অঞ্চল সুরক্ষিত রাখা এবং ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। গাজায় এ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, যেখানে গাজায় দুই বছর মেয়াদে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়োগ ও প্রায় ২০ হাজার সেনার একটি স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি অনুমোদনের প্রস্তাব রয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, এ প্রস্তাবের খসড়াটি মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্কের মতো যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাহিনীর সৈন্যরা প্রয়োজনে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে’, অর্থাৎ বল প্রয়োগের অনুমতিও তাদের থাকবে। তবে এ পরিকল্পনার একটি প্রধান শর্ত হলো, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। যদিও হামাস এখনো এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত ঘোষণা দেয়নি। এ আন্তর্জাতিক বাহিনী হামাসের সামরিক সক্ষমতা এবং আক্রমণাত্মক অবকাঠামো ধ্বংস করারও দায়িত্ব পাবে।
মন্তব্য করুন